বিনয় ভেসে গেছে কুমারগাঙে

মাসুদা ভাট্টি

 

বিনয় মজুমদারের সঙ্গে পরিচয় হয় একটি ছোট্ট চিরকূটের মাধ্যমে, যাতে লেখা ছিল:

“একটি উজ্জ্বল মাছ একবার উড়ে
দৃশ্যত সুনীল কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে স্বচ্ছ জলে
পুনরায় ডুবে গেলো – এই স্মিত দৃশ্য দেখে নিয়ে
বেদনার গাঢ় রসে আপক্ক রক্তিম হ’লো ফল …”

এই কবিতার লেখককে খোঁজার জন্য তখন হন্যে হয়ে উঠেছিলাম। তারপর একদিন কোনও এক কার্তিকে আশফরদির চকে যখন চেউচ গলা জলে দাঁড়িয়ে, কাছি টেনে চান্দা-চুঁচড়ো-ক্যাড়া বাইন ধরার সময়, যখন দো-মাল্লাই নাও বোঝাই হয়ে কুমার নদী দিয়ে কৃষ্ণদিয়ার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আমাকে বলা হয়েছিল, “জানো, এই গাঁয়ের একজন বিখ্যাত কবি আছেন, যাঁর নাম বিনয় মজুমদার, যাঁর মধ্যে বিনয়ের ব-ও নাই, যিনি দুর্বিনীত, লিখেছেন, ফিরে এসো চাকা” বাকিটুকু আমার মুখস্ত। নৌকোর পাশ দিয়ে তখন দু’চোখ সাবমেরিনের দূরবীনের মতো ভাসিয়ে দিয়ে ভেসে যাচ্ছে অসংখ্য খল্লা মাছ, কুমারের ভেতর দিককার কৃষ্ণ-কালো জল, কিনারায় ঘোলা; শুধু আমার মনে তখনও অতন্দ্রীলা, মনে মনে আমিই তখন অতন্দ্রীলা। বুকের ভেতর খীতিশ ঢুলি ঢাক বাজায় “ঠাকুর ঠাকুর কই গেলা, ওই বাড়ির খোকা হলো দেই যা”- আনন্দ, কারণ এই কবিতার কবি কৃষ্ণদিয়া, আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র মাইল পাঁচেক দূরের গাঁয়ে জন্মেছেন সেটা ভেবে। অন্য সময় হলে নৌকো চাঁদহাট, নারায়নপুর, বানেশ্বরদী পেরিয়ে বনগাঁ বাজারের এপারে ধর্মদির খালের মুখে যে দহ, সেই দহে প্রবেশের বহু আগে থেকে ঈশ্বরকে স্মরণ করে মায়ের বুকের সঙ্গে লেপ্টে থাকা হতো, সেবার শুধু বিনয়ের কথা মনে মনে ভাবতে ভাবতে আমি দহ পার করে দিয়েছিলাম, দহের জলের ভেতর তীব্র মোচড় আমাকে ভীত করতে পারেনি মোটেও। তবে পরে যে কৃষ্ণ-সত্য আমি আবিষ্কার করেছিলাম তাতে আমার এখনও মনে হয় যে, সেদিন ওই দহে নৌকোডুবি হয়ে মৃত্যু হলেই ভালো হতো, দীর্ঘ একটি জীবন একটি কালো অধ্যায়কে জেনে-শুনে-বুঝেও কিছু করতে না পারার কষ্ট আমাকে প্রতিদিন পোহাতে হতো না।

বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রশ্ন উঠেছিল মনে, বিনয় মজুমদার এখন কোথায়? উনি কি ঢাকায় থাকেন? উত্তর পেলাম, না, উনি কোলকাতায় থাকেন। ওনারা চলে গেছেন কলকাতায়। কেন? কেন আবার, পাকিস্তান আমলে অনেক হিন্দুইতো চলে গেছে। ওনারাও গেছেন। এখন তো পাকিস্তান আমল না, এখন কেন ওনারা ফিরে আসেন না? এখন তো স্বাধীন বাংলাদেশ। না, বাপু, তোমার এতো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না। কেন আসে না তার আমরা কি জানি? যারা আছে তারাই থাকতে পারছে না, আর যারা গেছে তারা ফিরে আসবে কী করে? এই সব সংলাপ শুনে শুনে আমার কৈশোরকাল পার করে দিয়েছি। আর দেখেছি একে একে নিত্য স্যার, স্কুলের বন্ধু শচী, কমলা, অর্চনা, প্রতিমা, নরেশরা চলে গেছে এই স্বাধীন দেশে ছেড়ে। আবার প্রশ্ন, ওরা কই চলে যায়? কই আবার, ভারত। আরও পরে যখন প্রশ্ন আর প্রশ্নের উত্তর পেয়েই নিজেকে শান্ত না করে প্রশ্নের পেছনে কারণ ও উত্তরের পেছনের রসায়ন খুঁজতে শিখেছি তখন জানতে চেয়েছি, একজন মানুষ মারা গেলে একটি নথি থাকবে, একজন মানুষ হারিয়ে গেলে তার রেকর্ড থাকবে কিন্তু এই যে বিশাল এক জনগোষ্ঠী, ছেচল্লিশের পর থেকে এ পর্যন্ত আদম শুমারী অনুযায়ীই ক্রমাগত কমছে তাতে রাষ্ট্রের দায় আসলে কতটা? আর রাষ্ট্র কি কোনও দিন এই দায় গ্রহণ করবে? নইলে রাষ্ট্রের একটি ধর্মগোষ্ঠী ক্রমাগত বেড়েছে, বেড়ে বেড়ে আজ এক ভয়ঙ্কর অবস্থানে এনে ফেলে দিয়েছে রাষ্ট্রকে আর অন্যদিকে এই ভূখণ্ডের আদি ধর্মের অনুসারীরা এমন ভাবে কমেছে যে, আপাত ভাবে অনেকেই হয়তো বলবেন যে, এই ধর্মের অনুসারীদের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতাই আসলে লোপ পেয়েছে। নইলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই প্রবণতা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর কেন পড়লো না? কেন এই দেশে শুধু মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে, কেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা কমেছে, কোনও বিবেকবান সুশীল কি এই প্রশ্নটি নিজের আত্মার কাছে করেছেন কখনও? প্রকাশ্যে না হোক, শোবার ঘরের আয়নার সামনে দাঁড়িয়েও কখনও কি এই প্রশ্নটি কারো মনে এসেছে? কে জানে, আমরা হয়তো এতো ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছি যে, কার কী হলো, কারা কমলো আর কারা বাড়লো তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাতে ভুলে গেছি। অথচ আশ্চর্যের কথা হলো, অমিয় চক্রবর্তী দীর্ঘকাল আগেই এই প্রশ্নটি নিজের সামনে রেখে একটি কঠিন সত্য আবিষ্কার করেছিলেন, ভিসা ছাড়া জন্মভূমিতে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন কবি। তিনি ভেবেছিলেন, এই ভূখণ্ড তাকে, এই ভূমির একজন আদিবাসীকে কোনও প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই গ্রহণ করবে, কিন্তু সেটা হয়নি। তারপরও তিনি এসেছিলেন, স্বাধীন দেশ দেখতে। এরকমই ছিলেন বিনয়, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কাহীন একজন কবি। প্রচণ্ড হিসেবি কবি, যাঁর কবিতা অঙ্কের সূত্র মেনে ব্যাখ্যা করা যায়, অথচ তাঁর জীবনের অঙ্কটাই তিনি কখনও মেলাতে পারেননি, নাকি তিনি চাননি! তিনি জন্ম-কবি, অঙ্ক-কষা জীবনে যাঁর তীব্র অরুচি।

রবীন্দ্রনাথ-পরবর্তী বাংলা আধুনিক কবিতাকে উত্তর-আধুনিকতার পথে তুলে দিয়েছেন জীবনানন্দ দাশ, কিন্তু সেই পথে প্রচণ্ড আধুনিকতার ঘোড়া দাবড়েছেন বিনয় মজুমদার। বিনয় পাঠে একেকজনের একেক অনুভূতি হবে সন্দেহ নেই, কারণ কবিতার পাঠক কবিতাকে ধরতে চান তার নিজস্বতা দিয়ে। বিশেষ করে, কবি সম্পর্কে জেনে-শুনে তাঁর কবিতা পাঠ শুরু করলে তো কথাই নেই, তখন কবিকে আতিপাতি খুঁজতে শুরু করেন তাঁর কবিতায়। যে কারণে আমিও বিনয় মজুমদারকে তাঁর কবিতায় খুঁজতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছি, কী অসম্ভব ভাঙা-গড়া, নির্মাণ, বিস্তার আর ওলট-পালটের ভেতর দিয়ে গিয়েছেন কবি তার শেষ নেই। জন্মেছিলেন বর্মা মুলুকে, যেখান থেকে তিনি কোলকাতায় স্থিত হন কিন্তু পিতৃপুরুষের ভিটেমাটি বলতে যে ফরিদপুরকে তিনি চিনতেন সেখানে ফিরতে চেয়েছিলেন কবি। কিন্তু ফেরা কি আর হয়? মানুষ একবার বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে পড়লে বৃত্তের বন্দীত্ব আর তাকে টানে না। তাইতো বিনয় নির্দ্বিধায় বলে ফেলতে পারেন, “মানুষ নিকটে গেলে সারস উড়ে যায়”- আসলে তিনি জীবনকে এভাবেই দেখেছেন, জীবনের খুব কাছে তিনি ঘেঁষতে চাননি। একটা আলগা ভাব তিনি বজায় রেখে গেছেন, সংসারী হননি তিনি। ওই যে বৃত্তের বন্দী হওয়া তাঁর ধাতে নেই।

তবে লন্ডনে একবার গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে দেখে আমার মনে প্রশ্ন এসেছিল, যদি এই চাকা (চক্রবর্তীকে চাকা বানিয়ে বিনয় লিখেছিলেন ফিরে এসো চাকা নামক কাব্যগ্রন্থ) যদি তাঁর জীবনে সত্যিই ফিরে যেতো তাহলে শেষ জীবনটা কি কবির এমন হতো? তবে এটাও সত্যি যে, জীবন এবং কাব্য – একের সঙ্গে অপরের অমিল এতোটাই উদগ্র যে মাঝে মাঝে সবকিছুকে কেমন অর্থহীন মনে হতে পারে কারো কাছে। গায়ত্রী চক্রবর্তী কেন বিনয়কে ভালোবাসেননি কিংবা বাসলেও কেন বিনয়ের সঙ্গে নিজেকে জড়াননি সেটি জানা যায় না, তবে আমার একথাও মনে হয়েছে তাঁকে দেখে যে, বিনয় হয়তো প্রতিদিনকার জীবনপাতে প্রবেশ করে নিজেকে বদলে নিতে পারতেন সেক্ষেত্রে যে বিনয়কে আমরা চিনি, আমাদের পরিচিত দুর্বিনীত বিনয়কে হয়তো আমরা পেতাম না, কিংবা পেতাম, কে জানে। গায়ত্রী চক্রবর্তীই আমাকে বলেছিলেন যে, বিনয় বড্ড গ্রামের কথা বলতেন, যদিও তাঁর স্মৃতিতে কৃষ্ণাদিয়ার কথা তেমন ভাবে থাকার কথা নয়, তবুও পিতৃপুরুষের ভিটে বলে কথা। আমি নিশ্চিত এই দুঃখ তার ভেতর ছিল, ভিটেমাটি ছাড়ার, উদ্বাস্তু হওয়ার, তিনি নিজে না হলেও এক বিশাল উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর দুঃখ-কষ্ট আর ক্রমশঃ যুদ্ধক্লান্ত হওয়াকে তিনি প্রত্যক্ষ করেছিলেন। স্পিভাকের মুখেই শুনেছি, দেশভাগের ওপর বিনয়ের ছিল প্রচণ্ড এক রাগ, অক্ষম রাগ। মাঝে মাঝে তার কবিতায় এইসব ইত্যাকার রাগ আর ক্ষোভই ফুটে বেরুতো হয়তো। নইলে বিনয় কেন লিখবেন, “ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম?” আসলেই তো আমরা কেউ সক্ষম নই, আমরা অক্ষম নপুংসক, ধীরে ধীরে ভালোবাসাহীনতায় অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি।

বিনয় মজুমদার বলেছেন, তিনি প্রকৃতির ভেতর দিয়ে কবিতাকে দেখতেন, জীবনানন্দও তাই। তিনি “জড় ও উদ্ভিদের” কাছে কবিতা খুঁজেছেন, প্রাণ কিংবা মানুষে তাঁর কি তবে ভক্তি ছিল না? নইলে তাঁর কেন এতো খেদ, কেন এতো প্রশ্ন যে, “‘আলোকসম্পাতহেতু বিদ্যুৎ সঞ্চার হয়, বিশেষ ধাতুতে। অথচ পায়রা ছাড়া অন্য কোনো ওড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন পাখি বর্তমান যুগে আর মানুষের নিকটে আসে না।সপ্রতিভভাবে এসে দানা খেয়ে ফের উড়ে যায়, তবুও সফল জ্যোৎস্না চিরকাল মানুষের প্রেরণা স্বরূপ।”

বিনয় যে তথাকথিত আধুনিক মানুষ থেকে শতহাত দূরে থাকতে চেয়েছেন তার প্রমাণ হচ্ছে, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রথম শ্রেনীতে পাশ করেও তিনি বদ্ধ উন্মাদের মতো ছুটে গিয়েছেন দিগ্বিদিক কিছু একটা খুঁজেছেন আজীবন, তিনি মেলাতে পারেননি নিজেকে কোলকাতার কফি হাউসে বসা কবিদের সঙ্গে। তিনি চলে গেলেন গ্রামে, হেমন্ত দেখতে, তথাকথিত ভদ্র মানুষ থেকে অনেক দূরে। নিভৃতে, একা কাটাবেন বলে। তারপর দীর্ঘকাল তিনি কাটিয়ে গেলেন এক বিচ্ছিন্ন জীবন, তাঁকে বার বার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে লোকালয়ে, শহুরে চাকচিক্যে কিন্তু তিনি ফেরেননি। এমনকি ভারত তথা গোটা বিশ্বের কাছে সম্মানজনক আকাদেমি পুরষ্কার পেয়েও বিনয় দুর্বিনীত বিনয়ে শুধু মুচকি হেসেছেন। আসলে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার তাঁর ছিলও না কিছু। কী বলবেন? দেখেছেন অনেক, জেনেছেন তার চেয়েও বেশি, কিন্তু তাতে যে ফারাক ছিল বোঝার, তিনি এই দূরত্বটুকু ঢাকতে চেয়েছেন কবিতায়, কতোটা পেরেছেন কিংবা  পারেননি তা বলবে ভবিষ্যতের গবেষকগণ। ততক্ষণ আমরা বিনয়কে শান্তিতে থাকতে দিই।

তবে শেষে আমার ব্যক্তিগত কষ্টের কথা বলি কিছু। ধরুন, আজকে এক কিশোর ভাঙ্গা থেকে কুমার বেয়ে বিনয়কে খুঁজতে বেরুলো। আমিও যদি তাঁর সঙ্গী হই এবং প্রথমে পীরের চরের হাট, তালকান্দা, বাহাড়া, বাটিকামারি, বনগাঁ, মহারাজপুর, মুকশুদপুর ঘুরে যখন কৃষ্ণাদিয়া গ্রামের গায়ে লাগানো ঘাটে গিয়ে পৌঁছুবে তখন সেখানে নেমে যদি “বিনয় আছো হে? বিনয় মজুমদার?” বলে চেঁচিয়ে উঠি তখন সেখান থেকে সাড়া দেবে কি কেউ? নাকি আমার দিকেও তখন বিনয়েরই মতো মনোবিকারের রোগী বলে তাচ্ছিল্য ছুঁড়ে দেবে লোকে? দিতেই পারে, কারণ সেখানে তো বিনয় নেই, কেউ হয়তো জানেও না এই গ্রামে একদিন বিনয় মজুমদারের পিতৃপুরুষের ভিটে ছিল, এখানে সেখানে হয়তো আব্দুল করিম কিংবা শেখ হাফিজুর নামে কারো বাড়ি-ঘর, উঠোন, গোয়াল; সেখানে তো তুলসি মণ্ডপ কিংবা নাটমন্দির আর নেই, সেই জায়গা দখল হয়ে গেছে বহু আগেই। আমার কষ্টটা এখানেই, বাংলাদেশে আসলে আর বিনয় নেই, রাষ্ট্র সব বিনয়কে পাঠিয়ে দিয়েছে এই ভূমের বাইরে। আমার পরের প্রজন্ম হয়তো জানবেই না বিনয়ের ইতিহাস, আমি তাকে গল্প শুনাতে পারি যে, এই গ্রামেই ছিল কবি বিনয় মজুমদারের ভিটেমাটি, এখানেই তাঁর পূর্বপুরুষেরা বসবাস করতেন কিন্তু সেই কিশোর যদি আমার আমার কাছে প্রমাণ চায়, আমি তখন কুমারের পারের শক্ত ভূমিতে মাথা খুড়লেও কোথাও থেকে কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারবো না যে, এই খানেই বিনয়ের বাসভূমি ছিল। ইতিহাস এভাবেই হয়তো নির্মম হয়ে যায়, ইতিহাসের ওপর রাষ্ট্রের খড়গ পরিবর্তন করে দেয় তার গতিপথ, আমাকেও বাধ্য হয়ে আমার সন্তানকে গল্প শোনাতে হবে এই বলে যে, বিনয় ভেসে গেছে কুমারগাঙে, তাঁকে খুঁজতে যাওয়া আসলে বৃথা, সে ভেসে গেছে, পড়ে আছে তাঁর কবিতা।

ঢাকা, ২০ কার্তিক, ১৪১৬।

 

Facebook Comments

2 Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top