স্নান ঘরে একা
একা ভেবেছি… একা ভেবেই জেনেছি
স্নানঘরে লাজ খুলে গেলে, জলের শব্দে
হারানোর কিছুই নেই জল ছাড়া
কেউ জানে না দেয়ালে কেন জলপড়ার শব্দ
কানে বাজে, কেন ঈর্ষায় পুঁতে রাখি জলসহ
রহস্যময় ছায়া
মগ-বালতি নীরবে পড়ে থাকে দেহের লোভে
স্নানঘরের কোণায়
শীতকাঁপুনিতে ঝরনার গরমজল হাত, মুখ–
চুলসহ সারা গতরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, গড়িয়েও যায়
যত দুষ্টতা লুকিয়ে রাখে চোখ আর আয়নায়
পাঁজরের হাড়ে
অন্যান্য প্রসঙ্গ মনে না-রাখাই ভালো
শুধু মেনে নিলেই হয়, যা দেখছে চোখ
দেড় ক্রোশ দূরে শিকারির ছুঁড়ে ফেলা
তীর!
তারচে’ বেশি কিছু বলার নেই, তুমি সবই জানো
হৃদয়শিকারি…ক্ষতিকর
তুমি হয়ত বদলাবে না কথা, আপন মনে
যদি তাই হয় তবে আমি গোপনে লুকাতে
যাবো না আর তোমার পাঁজরের হাড়ে
ফেরারি পর্ব ৬
বালিশ থেকে মাথা তের-চোদ্দ ইঞ্চি দূরে ঘুমিয়ে আছে। এই ব্যবধান
কীভাবে হলো, ঘুম থেকে জেগে তাই ভাবছি…আর ভাবছি একটি লুপ্ত
স্বপ্ন দেখার কথা ছিল ভোরে। কিন্তু তা হলো না, কেন দেখা হয়নি; কেউ
দায় স্বীকার করেনি, নিজেও জানি না। ফলে সদ্য ফোটা সূর্যফুল দেখে
ভিজে যাচ্ছে ভোরের ছায়াহীন বন। কার দায় বেশি ছিল তুমিই বলো
এখন; ঘূর্ণি গ্র্যাভিটেশন।
তামা-কাঁসা
তুমি জানলে-না পিতলের বাটি…ভাতের সরা
শরীর খুলেছে ঘামে তুমি খুলে আছো
ব্যথা সরাতে কাঁটা চামচের ফাঁকে-ফাঁকে
অ্যালুমিনিয়াম
তুমি কী জেনেছ কিছু জলকলসি, পরিপূর্ণ ঘড়া
জলের ভেতর রোঁয়ে যাও স্মৃতি: তামা-কাঁসা
অভিজ্ঞতা
পা-পোষে পা মুছতে মুছতে মনে হয়
পায়ের তলায় কিছুই থাকলো না জমা
শুধু শুধু জুতো পালিশ করে যাওয়া
আশ্চর্য! এ-ঘষামাজা; ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
নাহ্! আমি আর পারছি না,
রহস্য লুকিয়ে রাখা
ছলনা কি সান্ত্বনা কিছুই বুঝি না, কিছুই জানিনা
পায়ে পায়ে পিষছি ক্ষতচ্ছাপ অসহ্য শূন্যতা
সাদা জামা
প্রতিদিন জামায় লেগে থাকে রোদ
মুচকি হাসে বালুর কণা
যখন বুকে বিনাশর্তে ঢুকে তোমার
দৃষ্টিভঙ্গি, মনেই থাকে না–
দীর্ঘশ্বাস ছুঁতে আস্থা কার দুটি পা…
তারচে’ ভালো যদি শরীর খুলে হাঁটি
রোদ শুষে নেবে হৃদয়; পুরনো কামনা
শীত
চোখের কাছে কাঁদতে নেই তোমাদের দুর্মরজল
শীতটা একদম সইতে পারছে না আলাভোলা শরীর
ভাব মনে,না-মিশতে মিশতে শীতের গুণাগুণ
যতটা চেপে ধরেছে… বলবো না ভীষণ আকুল
ছিল না দাবী-দাওয়া আশনাই আঁশাফল
তুমি কিছু একটা বলো দুর্লঙ্ঘ কানের দুল
চোখের কাছে কাঁদতে নেই তোমাদের দুর্মরজল
নিত্যদিনে যারা শীতপ্রিয়, শয্যাসহা তাও গরমিল