শকুন্তলা চৌধুরী: অবলাকান্তের বঙ্গ ‘দর্শন’-২

অবলাকান্ত খাতা খুলিয়া লিখিলেন — “শ্রীমত শ্রীযুক্ত বাবু মন্দ্রিল চট্টরাজ মহাশয়ের সহিত আমি একমত নহি। বঙ্গভাষার মৃত্যু হয় নাই, তাহাকে কোনো মারণ রোগেও ধরে নাই। সে দিব্য বহাল তবিয়তে বাঁচিয়া …

শকুন্তলা চৌধুরীর গল্প: অবলাকান্তের ‘মুখ’ দর্শন

অবলাকান্ত কাঠগড়ায় উঠিয়াই কহিলেন — “আমি ‘মুখবই’ খেলিব না। হুজুর, ‘মুখবই’ খেলা বন্ধ হউক। নতুবা, খেলার নিয়ম বদল হউক। ‘মুখবই’তে ‘ভালো লাগিয়াছে’ বলিবার বা অন্য কিছু লিখিবার জায়গাটা তুলিয়া দেওয়া …

ড্যাফোডিলস্: শকুন্তলা চৌধুরী                           

শকুন্তলা চৌধুরী স্নান সেরে এসে, সোফায় গা এলিয়ে দিল মেধা। আজকের দিনটা ছিল খুব লম্বা। থিসিস প্রায় শেষ হওয়ার মুখে, তাই নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই এখন ওর। সকালে ব্রেকফাস্ট করেই ইউনিভার্সিটিতে …

বাঙালীর খ্রীষ্টমাস: শকুন্তলা চৌধুরী

ছোটবেলায় খ্রীষ্টমাস আসতো খুব সন্তর্পণে। পরীক্ষা শেষে, ছুটির দিনে, লিণ্ডসে স্ট্রিটের বাঁকে।… তারিখটা ২৫শে ডিসেম্বর হলো কি না হলো, তাই নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা ছিলো না। নিউ মার্কেটের মধ্যে ঢুকলেই …

শকুন্তলা চৌধুরীর ছোটগল্প: স্মৃতিমাসী

সবাই ওনাকে স্মৃতিমাসী বলেই ডাকতো চিরকাল — ঋতু, ঋজু, বৃষ্টি এবং তাদের মা-বাবারাও। সবারই তিনি স্মৃতিমাসী। আসলে ঋতু-ঋজুর দিম্মা, যিনি হচ্ছেন বৃষ্টির ঠাম্মা, তাঁর সম্পর্কে মামাতো বোন হন্ স্মৃতিমাসী। কিন্তু …

শকুন্তলা চৌধুরীর গল্প: একদা গৃহকোণে

চিঠিটা আরেকবার ভালো করে পড়লো তিতির। ছোট্ট চিঠি। মামা লিখেছে—‘মায়ের শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা, যদি খুকু একবার তিতিরকে নিয়ে আসতে পারে তো ভালো হয়।’ তারপর অন্যান্য কথা— ওখানে সবাই কেমন…আশাকরি সকলের …

শকুন্তলা চৌধুরীর গল্প: ভাঙা বেড়ি

ছোটবেলায় বাড়ীতে বাসন মাজতে আসতো মেনকাদি’ — তাকে নাকি তার স্বামী ‘নেয় না’। আমাদের বাড়ীর পুরোনো কাজের লোক অলকাদি যখন হাঁটুর ব্যথায় কাজ ছেড়ে দিল, তখন সে মা’কে এসে বলেছিলো …

শকুন্তলা চৌধুরীর গল্প: কোনো একদিন

কে যেন আস্তে আস্তে কানে কানে বললো, “মনে পড়ে? অঙ্ক করতে করতে খাতা সরিয়ে রেখে হঠাৎ তুমি কবিতা লিখতে বসে যেতে?…হঠাৎ আসা ভাবের বন্যাকে ধরতে গিয়ে খাবার ঠাণ্ডা করে দিতে? …

Back to Top