সেলিম জাহানের মুক্তগদ্য: যেতে তো হবেই

এখানে দিন বেশ দীর্ঘ এখন—ফলে সন্ধ্যে সাতটার সময়েও ঘরে থাবা মেরে পড়ে থাকে রোদ। তাই প্রায় প্রতিদিনই বাড়ী ফিরে আহারান্তে চায়ের পেয়ালাটি নিয়ে বারান্দায় যাই। পূর্বী নদীর সামনের বারান্দাটিতে কাঁচ-ঢাকা …

সেলিম জাহানের মুক্তগদ্য: সুতো

আমাদের আবাসিক ভবনের ফটক থেকে বেরিয়ে রাস্তা পেরুলেই মাঝারি মাপের একটি উদ্যান। বেশ বড় বড় বার্চ গাছ দু’সারিতে। মাঝে মাঝে অনেকগুলো ম্যাপল গাছ। বার্চ আর ম্যাপল মিলে ঢেকে দিয়েছে পুরো …

সেলিম জাহানের মুক্তগদ্য: শেষ বিকেলের মেয়ে

চাবি দিয়ে ঘরের দরজা খুলতেই চমকে গেলাম। আলো উদ্ভাসিত ঘর— না, চড়া আলো নয়, বিকেলের নরম পড়ন্ত রোদের মোলায়েম আলো ডিমের হাল্কা কুসুমের মতো অনেকটা এলায়ে পড়েছে ঘরের মেঝেতে, তির্যকভাবে …

সেলিম জাহানের গদ্য: তোমাকে দেখতে বড্ড ইচ্ছে করবে

দাপ্তরিক টেবিলের ওপরে ছোট্ট একটা চিরকুট। আমি আস্তে করে হাতে তুলে নিলাম। তা’তে গোটা গোটা অক্ষরে ইংরেজীতে সংক্ষিপ্ত একটি বার্তা – বাংলা করলে যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘সম্প্রতি আমার বিদায় সম্বর্ধনা …

সেলিম জাহান: কনে দেখা আলো

নদীর পাড় ধরে হেঁটে বাড়ী ফিরছিলাম। পড়ন্ত বিকেল, পূর্বী নদীতে মোলায়েম রোদের খেলা ছোট ছোট ঢেউয়ের মাথায়। হঠাৎ করে দৃষ্টি ছড়িয়ে গেল নদী ছাড়িয়ে ওপারে ম্যানহ্যাটনের হর্ম্যরাজির ওপরে। আহা, ভারী …

সেলিম জাহানের স্মৃতিগদ্য: স্মৃতির আয়ু কত দীর্ঘ?

কড়া নাড়ব না বৈদ্যুতিক ঘণ্টিটি বাজাবো তা ভাবতেই মিনিট খানেক কেটে গেল। অকারণে নয়, সময়টার কথা ভেবেই আমার এ দ্বিধা। শীতের পড়ন্ত বিকেল– ইতিমধ্যেই সূর্য এলায়ে পড়েছে পশ্চিম গগনে। চারদিক …

সেলিম জাহানের গদ্য: ক্যাফে নিরো

বাঁয়ে ঘুরতেই ক্যাফেটা নজরে পড়ল– সুন্দর নামটি ‘ক্যাফে নিরো’। ভীড় আছে বেশ– ক্যাফের ভেতরে তো অবশ্যই, কিন্তু সেই সঙ্গে যেখানে খাবারের কথা বলতে হয়, সেখানেও। কিন্তু বিমান থেকে নেমেই কফি-তৃষ্ণা …

সেলিম জাহানের গল্প: সেদিন দু’জনে

সেলিম জাহান ছেলেটির হাতে মেয়েটির হাত ধরা– ছেলেটির ভারী পছন্দের মেয়েটির নরম ছোট্ট হাতদুটো। মেয়েটি তা জানে আর তাই ভারী মিষ্টি করে ছেলেটির মুখের দিকে তাকায়–তার মনের মানুষটির দিকে। রাস্তার …

Back to Top