পাভেল চৌধুরীর মুক্তগদ্য: বই ও বর্তমান বিশ্ব

বিখ্যাত সাহিত্যিক মার্ক টয়েন মনে করতেন, যে ব্যক্তি বই পড়তে পারে কিন্তু বই পড়ে না আর যে ব্যক্তি আদতেও বই পড়তে পারে না, তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কথাটা গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই। এই কথার সূত্র ধরে আমরা বলতে পারি প্রকৃত শিক্ষার সাথে শিক্ষা সংক্রান্ত সনদের আসলে তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। শিক্ষার সাথে সম্পর্ক আসলে বইয়ের। বই হচ্ছে জ্ঞানের আধার। মানব সভ্যতার ১০ হাজার বছরের ইতিহাসে বইয়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। গত শতকের ৮০’এর দশকের দিকে যখন ইন্টারনেট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া,আকাশ সংস্কৃতি ইত্যাদির প্রসার ঘটতে লাগলো তখন ছাপা বইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্বের তাবৎ বড় বড় প্রকাশনা সংস্থাও সংশয়ে পড়েছিল, এমনকি অনেক প্রকাশনা সংস্থা তাদের ব্যবসাও বন্ধ ঘোষণা করেছিল। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা ১৭৬৮ সাল থেকে পৃথিবী জুড়ে সাধারণজ্ঞানের বই প্রকাশনা অব্যাহত রাখছিল, তারা পর্যন্ত ঘোষণা দিল যে ছাপা হরফে তারা আর তাদের প্রকাশনা অব্যাহত রাখবে না কিন্তু অচিরেই সব ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। দেখা গেল, ছাপা হরফের বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ইন্টারনেট ইত্যাদি আরও সব প্রযুক্তি নিজেদের প্রসার আর জনপ্রিয়তা অর্জন করছে ঠিকই কিন্তু ছাপা হরফের বইয়ের বিকল্প হয়ে উঠতে পারছে না। বই থাকছে বইয়ের জায়গাতেই। যে জায়গাতে ভাগ বসাতে পারছে না কোনো কিছু, কোনো প্রযুক্তিগত কৃৎকৌশলই না। যদিও বইয়ের ভোক্তার ক্ষেত্রে কিছু গুণগত পরিবর্তন হয়েছে আর সেটা হলো বিনোদনের উপাদান হিসেবে বইয়ের গুরুত্ব কমেছে। এক সময় বই ছিল মানুষের প্রধানতম বিনোদন উপাদান কিন্তু এখন মানুষের হাতের কাছে রয়েছে নানা ধরনের বিনোদন সামগ্রী, বই সরে যাচ্ছে দূরে। বই পড়া এখন হয়ে উঠেছে কষ্টের ব্যাপার আর এই কষ্ট ব্যতিরেখেই শুধু মাত্র চোখ কান খুলে মানুষ বিনোদন নিচ্ছে নানা ভাবে, মেধা-মননের প্রয়োজন হচ্ছে না। ভাবা যায়! একটা সময় ছিল যখন রেড়ির তেলের ক্ষীণ প্রদীপের আলোয় গ্রামের বৈঠকখানা বা মুদির দোকানে বঙ্কিমের কোনো বই কিংবা মহাভারত বা মীর মোশারফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু, নানা ধরনের পুঁথি ইত্যাদি পড়া হত। পড়তো ১ জন আর গোল হয়ে বসে শুনতো অনেকে। কখনও সেই পড়ায় সুর লাগানো হত। একধরনের মানুষের পেশাই ছিল সুর করে এসব পড়া, তাঁদেরকে বলা হত কথক। কথক ঠাকুর। সেদিন এখন নেই। সাধারণ পাঠকের কাছে এখন বঙ্কিমের ভাষা জটিল। রস গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো রকম শ্রম স্বীকারের পক্ষপাতি তারা না। তারা চায় ফুর্তি, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য আবেদন। কিন্তু মননশীল পাঠকের কাছে অবশ্য ছাপা বইয়ের গুরুত্ব কমেনি। যে কারণে এখনও কোনো বই বিশ্ব জুড়ে লাখ লাখ কপি বিক্রি হয়, অসংখ্য ভাষায় অনূদিত হয় আর বিতর্ক বা আলোচনার ঝড় তোলে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে আমাদের দেশের অবস্থাটা কেমন? এত যে আমাদের শিক্ষার হার বাড়ছে, প্রসার ঘটছে উচ্চ শিক্ষার, ছাত্র শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে অশ^গতিতে, স্কুল কলেজের সুদৃশ্য স্থাপনা হচ্ছে সুদূর গ্রাম পর্যন্ত কিন্তু আমাদের মননশীলতা চর্চার অবস্থাটা কি? মননশীল বইয়ের চাহিদা কি বাড়ছে? বিস্তার লাভ করছে মননশীলতার পরিধি? এব্যাপারে যারা কিছু খোঁজখবর রাখেন তারা নিশ্চয় স্বীকার করবেন যে চিত্রটা খুব উজ্জ্বল না, মলিন, ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির পরিবর্তে মালিন্যই যেন ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। শিক্ষা যদি মননশীলতা চর্চার আগ্রহ না বাড়ায়, যদি প্রসার না ঘটায় জ্ঞান চর্চার তাগিদ তবে সেই শিক্ষার কার্যকারিতা কতটুকু? সমাজ, জাতি, তথা দেশ নিয়ে যারা ভাবেন এই প্রশ্নকে তাঁরা এড়িয়ে যেতে পারবেন না।

যাহোক, সম্প্রতি Yuval Noah Harari নামক জনৈক লেখিকার ৩টে বই যথাক্রমে Sapiens, Hono Deus এবং 21 Lessons for the 21st Century, পৃথিবী ব্যাপি ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। লক্ষ লক্ষ কপি বই বিক্রি হচ্ছে শুধু না, বহু ভাষায় অনুদিতও হচ্ছে। তাঁর প্রথম বই ঝধঢ়রবহং ইতোমধ্যে বাংলা ভাষায়ও অনুদিত হয়েছে। তাঁর সর্বশেষ প্রকাশিত
21 Lessons for the 21st Century বইয়ের ভূমিকার আলোকে নীচের অংশটুকু লেখা হলো।

পৃথিবীজুড়ে এখন তথ্যের সমাহার। এই তথ্যের ভিড়ে কোনটা সঠিক সেটাই বেছে নেওয়া সমস্যা। যদিও বলা হচেছ তথ্যই শক্তি। এখন যদি মানবজাতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা যায় সঠিক উত্তর পাওয়া মুশকিল। প্রত্যেক মানুষ তার নিজের কাজে ব্যস্ত; – সন্তান প্রতিপালন, বৃদ্ধ পিতা-মাতার যত্ন-আত্মি ইত্যাদি অসংখ্য কাজ কিন্তু কেউ যতই তাঁর নিজের কাজে ব্যস্ত থাকুন না; মানবজাতির ভবিষ্যৎ কিন্তু তাঁর অজান্তেই নির্ধারিত হয়ে যাচ্ছে এবং সেই পরিণতি থেকে কেউ রক্ষা পাবে না। ঠিক এই মুহূর্তে পৃথিবীতে কি ঘটছে? আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ সমূহ কি? আমাদের সন্তান সন্ততিদের কি শেখানো উচিৎ? এসব ব্যাপারে আমাদের মানোযোগ দেওয়া দরকার। পৃথিবীতে ৭০০ কোটি মানুষের ৭০০ কোটি রকম সমস্যা; একজন অসহায় মা মুম্বাইয়ের বস্তিতে তাঁর সন্তানদের আহার জোগানোর চেষ্টায় রত। ভূমধ্যসাগরে নৌকায় ভাসমান উদ্বাস্তুরা তটরেখার সন্ধানে উদগ্রীব এবং লন্ডনের কোনো হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর ভিড়ে মৃত্যু পথযাত্রী কোনো রোগী জীবন রক্ষার চেষ্টায় দিশেহারা। এরা সবাই বৈশ্বিক উষ্ণতা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সংকট, এরকম সমস্যা থেকে অনেক দূরে। এঁদের জন্য কোনো বই নেই। এঁদের শিক্ষা দেওয়ারও কিছু নেই কিন্তু এঁদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার আছে অনেক কিছু। ইতিহাস থেকেও আমদের কিছু শিক্ষা নিতে হবে, যে শিক্ষা মামুলি সিদ্ধান্তের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে না। সেই শিক্ষার লক্ষ্য হবে আমাদের চিন্তাকে বহুমুখি করা এবং বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করা। সব মিলিয়ে প্রশ্ন একটাই, আজকের বিশ্বে কি ঘটছে এবং এসব ঘটনার গভীর তাৎপর্য কি?

আজকের বিশ্বের বিরাট বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সাথে ব্যক্তির সম্পর্ককে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। যেমন, সন্ত্রাসবাদ আজকে বিশ্বব্যাপি রাজনৈতিক সমস্যা আবার এটা ব্যক্তি মানুষের মানসিক সমস্যাও। মানুষের মনের গভীরে যে নিরাপত্তাহীনতাবোধ পুঞ্জিত হয়, সন্ত্রসবাদ তার উপর কাজ করে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কল্পনা শক্তিকে হরণ করে এই সন্ত্রাসবাদ। আবার উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সংকট যে শুধু মাত্র পার্লামেন্ট আর ভোটকেন্দ্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এমন না বরং এর থেকে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়ার উদ্ভব হয়। এটা ঠিক, প্রত্যেক ব্যক্তিরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে হলেও কিছু রাজনৈতিক ভ‚মিকা থাকে। কিন্তু এটা এমন একটা সময় যখন বিজ্ঞান, কর্পোরেট আর সরকার, ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তাকে হরণ করতে শিখেছে, যেমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি।

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ফ্যাসিইজম, কমিউনিজম, আর উদার গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা, এর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। জয় হয়েছিল উদার গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থার। আশাকরা হয়েছিল গণতন্ত্র মানবাধিকার আর উন্মুক্ত ধনতন্ত্র জয় করবে গোটা বিশ্বকে। কিন্তু ইতিহাস যেন এক অপ্রত্যাশিত বাঁক নিয়ে ফেললো। ফ্যাসিইজম আর কমিউনিজমের পতনের পর এখন উদার-গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থাও অকার্যকর হয়ে পড়লো। তাহলে আমাদের গন্তব্য কোথায়?

এটা খুব দুঃজনক ব্যাপার যে উদার গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা এমন এক সময়ে তার কার্যকারিতা হারালো যখন প্রযুক্তি আর জৈব-প্রযুক্তির উন্নয়ন সমগ্র মানব জাতিকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে যেমনটা আগে কখনো হয়নি। তথ্য প্রযুক্তি আর জৈব-প্রযুক্তি লক্ষ লক্ষ মানুষকে সম্ভবত বেকার করে ফেলছে। তথ্যের বিশাল ভাণ্ডার ডিজিটাল একনায়কতন্ত্রের উদ্ভব ঘটাচ্ছে। সেদিন দূরে নয় যেদিন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হবে ক্ষুদ্র একটা অভিজাত শ্রেণী আর বিপুল অধিকাংশ মানুষ শুধু শোষণ প্রক্রিয়ার শিকার হবে না, তাদের অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ। আমরা প্রযুক্তির বিরুদ্ধে নই, আমদের উদ্দেশ্য মূলত প্রযুক্তির হুমকি আর বিপদগুলো দেখানো। বিভিন্ন কর্পোরেট গোষ্ঠি আর উদ্যোক্তারা যারা এই প্রযুক্তি বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছে, স্বাভাবিক ভাবে তারা প্রযুক্তির নতুন উদ্ভাবনায় উৎফুল্ল কিন্তু সমাজবিজ্ঞানী দার্শনিক আর ইতিহাসবিদদের দায়িত্ব এই প্রযুক্তি বিপ্লবের বিপদ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা।

বর্তমানে একটা বিভ্রান্তিকর সময় আমরা পার করছি যখন পুরোনো অধ্যায় শেষ হয়েছে। আবার নতুন কোনো অধ্যায় যা পুরানো অধ্যায়ের শূন্যস্থান পূরণ করবে তেমন দেখা যাচ্ছে না। আমরা কারা? জীবনে আমাদের করণীয় কী? কী ধরনের দক্ষতা আমাদের দরকার? এসব আমরা জানি কিন্তু বিজ্ঞান সম্পর্কে, সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে, রাজনীতি সম্পর্কে এবং ধর্ম সম্পর্কে আমরা পুরোটা জানিনে, তাহলে আজকের পরিস্থিতিতে জীবনের মূল্যায়ন আমরা কি ভাবে করবো? এটা অতি আশাবাদীর মতো মনে হলেও মানতে হবে যে মানব জাতি সবসময়ের জন্য অগ্রসরমান। দর্শন ধর্ম আর বিজ্ঞান সময়ের আগে চলে। হাজার বছর ধরে মানুষ জীবনের অর্থ কী হবে তাই নিয়ে বিতর্ক করে আসছে কিন্তু অনির্দিষ্ট কাল ধরে এই বিতর্ক চলতে পারে না। বিপর্যস্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ, গণবিধ্বংসি অস্ত্রের ক্রমবর্ধমান হুমকি এবং নতুন সব আত্মঘাতি প্রযুক্তির প্রসার এই বিতর্ককে মেনে নেবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর জৈব-প্রযুক্তি হয়ত মানব জীবনের নতুন ছক নির্মাণ করে দেবে আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কেউ হয়ত এই শক্তিকে ব্যবহার করে মানুষের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে। দার্শনিকরা খুবই ধৈর্যশীল, কিন্তু প্রযুক্তিবিদদের ধৈর্য কম আর বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য সবার থেকে কম। যদি আমরা অর্জিত ক্ষমতাকে জীবনের কাজে না লাগাতে পারি, বাজারশক্তি (Market force) হাজার বছর ধরে অপেক্ষা করবে না। বাজারের অদৃশ্য হাত তার আত্মঘাতি কার্যক্রমে আমাদের অংশ নিতে বাধ্য করবে। যে কারণে এখন জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটা সামগ্রীক ধারণা থাকা খুবই জরুরী বিষয়।

দুঃজনক হলো, বর্তমান বিশ্ব-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উদারনীতিবাদ আর গণতন্ত্র সম্পর্কিত বিষয়গুলো একনায়কতন্ত্র আর সংকীর্ণ দলীয় কার্যক্রম দ্বারা কুক্ষিগত হয়ে পড়ছে। তারা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে উদার গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থাকে হেয় করছে আর মানবজাতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত আলোচনাকে নিরুৎসাহিত করছে। এখন বিশ্বব্যাপি এমন একটা শাসন ব্যবস্থা চলছে যখন মুক্ত মনে বক্তব্য রাখা সমস্যা হয়ে উঠেছে আর এধরনের শাসন ব্যাবস্থার প্রসার ঘটতে থাকলে মানবজাতির ভবিষ্যত বিপদগ্রস্ত হতে বাধ্য।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, ঝুঁকি নিয়ে হলেও মুক্ত আলোচনা আমাদের করতে হবে। মানুষ এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি চিন্তাশীল এবং তাঁদের আশা-আকাক্সক্ষার ব্যাপারেও সোচ্চার। আজকের দিনে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা দরকার।

 

পাভেল চৌধুরী

যশোর শহরে জন্ম ১৯৫৭ সালে, বেড়ে ওঠাও যশোরে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে অধ্যাপনার কাজে যুক্ত হন। অতঃপর শহীদ মশিয়ূর রহমান কলেজ, ঝিকরগাছা, যশোর-এর অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন ২০১৮ সালে। ১৯৮২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকায় প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সালে প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘চলে যাচ্ছি’ প্রকাশিত হয়। ছোট গল্প ছাড়াও প্রবন্ধ নিবন্ধ লেখায় আগ্রহী।

Facebook Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top