জীবনানন্দ দাশের হাওয়ার রাত: কামরুল হাসান

হাওয়ার রাত’ কবিতাটি কবি জীবনানন্দ দাশের তৃতীয় ও বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ বনলতা সেন’-এর অন্তর্ভূক্ত। নক্ষত্রখচিত জ্বলজ্বলে এক রাতের অসামান্য নৈসর্গিক পটভূমিতে তিনি নির্মাণ করেন ততোধিক অসামান্য কবিতাটি। রাত যে কেবল তারকাখচিত তা নয়, নয় কেবল প্রবল হাওয়ার রাত, সে রাতের বিশাল ক্যানভাসে বর্তমানের নক্ষত্রনিচয় শুধু নয়, হাজার বছর আগে মরে যাওয়া অজস্র নক্ষত্ররা জেগে উঠেছিল। এই আশ্চর্য রাতের প্রেক্ষাপটে কবি উপস্থাপন করেন মৃত সব রূপসীদের মুখ যারা দীর্ঘ বর্শা হাতে কাতারে কাতারে দাঁড়িয়ে গেছেন মৃত্যুকে দলিত করার জন্য, প্রেমের ভয়াবহ স্তম্ভ তুলবার জন্য। ঐ অতিলৌকিক দৃশ্য অবলোকনে কবি বিস্মিত-বিমূঢ়, ঐ মহাজাগতিক আহবানে মর্ত্যের কবি প্রবল আন্দোলিত। তার হৃদয় ভরে গিয়েছে বিস্তীর্ণ ফেল্টের সবুজ ঘাসের গন্ধে, অবশেষে পৃথিবী ছেড়ে এক স্ফীত, মাতাল বেলুনের মত তাঁর হৃদয় মহাকাশে, নক্ষত্রজগতে উড়ে যায়।

কবিতা যে শিল্পের উত্তুঙ্গ চূড়া স্পর্শ করতে পারে— এ কবিতা তার সাক্ষ্য দেয়, এমন চিত্রকল্প ভরপুর, উপমা-উৎপ্রেক্ষা ঠাঁসা, কাব্যিক আবেদন সম্পন্ন, ভাব ও ভাষার অপরূপ সমন্বয়ের কবিতা ক’টি আছে বাংলা সাহিত্যে? এ কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের কবি প্রতিভার নিদর্শন। সাধারণ কবিগণ হাজার বছর ধরে সহস্র পঙক্তি লিখে গেলেও এমনি একটি মুক্তো কবিতা লিখতে পারবেন না, ঐ বিদ্যুৎস্পর্শ তাদের অধরাই থেকে যাবে। কবিতাটিকে মনে হয় দৈবপ্রেরিত, কবি নামক নবীর মধ্য দিয়ে নাজিল হওয়া দৈববানী, যার সঙ্গে মিশে আছে কবির অসামান্য চিত্ররূপময় ভাষার সংযোজন।
অসাধারণ সব চিত্রকল্পে ঠাঁসা এ কবিতা
১। মশারিটা ফুলে উঠেছে কখনো মৌসুমী সমুদ্রের পেটের মত (পঙক্তি ৩)
২। স্বাতী তারার কোল ঘেঁষে নীল হাওয়ার সমুদ্রে শাদা বকের মত উড়ছে সে (পঙক্তি ৮)
৩। অন্ধকার রাতে অশ্বত্থের চূড়ায় প্রেমিক চিলপুরুষের শিশির-ভেজা চোখের মত ঝলমল করছিল সমস্ত নক্ষত্রেরা (পঙক্তি ১২ ও ১৩)
৪। জ্যোৎস্নারাতে বেবিলনের রানীর ঘাড়ের ওপর চিতার উজ্জ্বল চামড়ার শালের মত জ্বলজ্বল করছিল বিশাল আকাশ (পঙক্তি ১৪ ও ১৫)
৫। মিলনোন্মত্ত বাঘিনীর গর্জনের মতো অন্ধকারের চঞ্চল বিরাট সজীব রোমশ উচ্ছ্বাসে (পঙক্তি ৩)

সমগ্র বাঙলা সাহিত্যেই দুর্লভ এমনি চিত্রকল্প; তাও জড়ো হয়েছে একটি কবিতার ভেতর— ভাবাই যায় না। প্রতিটি চিত্রকল্পই মৌলিক ও কবি-প্রতিভার স্মারক।

অসামান্য সব চিত্রকল্পই শুধু নয়, কবিতাটির শরীরে মনিমুক্তোর মত অসংখ্য ঊপমা বসানো। কবি ফুলে ওঠা মশারীকে তুলনা করেছেন মৌসুমী সমুদ্রের পেটের সঙ্গে; উড়ে যাওয়া মশারীকে কল্পনা করেছেন উড়ে যাওয়া শাদা বকের সাথে; ঝলমলে নক্ষত্রদের তুলনা করেছেন প্রেমিক চিলপুরুষের শিশিরভেজা চোখের সাথে: জ্বলজ্বলে বিশাল আকাশকে দেখে তাঁর মনে হয়েছে চিতার উজ্জ্বল চামড়ার শাল; পৃথিবী ছিড়ে উড়ে যাওয়া হৃদয়কে মনে হয়েছে স্ফীত মাতাল এক বেলুন; বাতাসতে তুলনা করেছেন প্রান্তওে উৎক্ষিপ্ত অজস্র জেব্রার সাথে।

এ কবিতায় বিজ্ঞানের সত্যের সাথে অঙ্গীভূত হয়ে আছে ইতিহাস চেতনা, আর এর সাথে এসে মিশেছে কবির কল্পনা, অধিবিদ্যা ও দর্শন। যে নক্ষত্রেরা আকাশের বুকে হাজার হাজার বছর আগে মরে গিয়েছে’— এ পঙক্তি বিজ্ঞানের সত্যকে ধারণ করে, কিন্তু এরপরই কবি লিখেন তারাও কাল জানালার ভিতর দিয়ে অসংখ্য মৃত আকাশ সঙ্গে করে এনেছে। এটা কবির কল্পনা, বিজ্ঞানের সত্য ছাড়িয়ে কাব্যিক সত্য, যার ভেতর রয়েছে ইতিহাসের বোধ। এ কবিতায় রয়েছে সম্প্রসারিত ইতিহাস চেতনা। বর্ণনাত্মক এক রীতির ভেতর কবি ঢেলে দেন তাঁর প্রগাঢ় ইতিহাসবোধ। কাব্যগ্রন্থের প্রথম ও সুবিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’এর মত এ কবিতাতেও কবি জীবনানান্দ দাশ অতীতের বিস্মৃত সকল অঞ্চল বেবিলন, এশিরিয়া, মিশরে পরিভ্রমণ করেন। যিনি প্রাচীন সব সভ্যতার—এশিরিয়া, মিশর, বিদিশায়— রূপসীদের মরে যেতে দেখেন তিনি তো ঈশ্বরের দৃষ্টি অর্জন করেন।
এ কবিতা পুরোমাত্রায় নষ্টালজিক, তার মুখ অতীতের দিকে ফেরানো। কবিতার যে রূপান্তরের ক্ষমতা, যে উলস্ফনের শক্তি তা পুরোমাত্রায় মূর্ত হতে দেখি এ কবিতায়। পার্থিব জগৎ থেকে তা পাঠককে নিয়ে যায় অপার্থিব এক জগতে, লৌকিক কবি স্বপ্নাবিষ্ট হয়ে অতীতের টানে উড়ে চলে যান নক্ষত্রসংসারে, সঙ্গে করে নিয়ে যান তাঁর স্বপ্নাবিষ্ট পাঠককুলকে। এ কবিতা তাই বিস্ময়ের, বারংবার পাঠের।

জীবনানন্দকে বলা হয় ধূসরতার কবি, কুয়াশার কবি। তাঁর এই প্রতিনিধিস্থানীয় কবিতাতেও রয়েছে ধূষর রঙ, কুয়াশা। প্রিয় মৃত মুখদের মনে হয়েছে ধূসর, আর মৃত রূপসীরা অতিদূরে আকাশের সীমানায় কুয়াশায় দীর্ঘ বর্শা হাতে কাতারে কাতারে দাঁড়িয়ে গেছেন যেন।

এ কবিতায় আছে গতি, কবিতাটি কোথাও থেমে নেই, এগিয়ে চলা, বরং বলা ভাল, উড়ে চলাই এর বৈশিষ্ট্য। মশারিটা বিছানা ছেড়ে নক্ষত্রের দিকে উড়ে যেতে চেয়েছে’, শাদা বকের মত নীল সমুদ্রে উড়ছে, উত্তুঙ্গ বাতাস জানালার ভেতর দিয়ে শাঁই শাঁই করে নেমে এসেছে, হৃদয় পৃথিবী ছেড়ে উড়ে গেছে স্ফীত মাতাল বেলুনের মতো— এমনি আশ্চর্য গতিময় সকল পঙক্তি এ কবিতার চাকায় জুড়ে আছে। প্রকৃতির বিরল সৌন্দর্য কবিকে যেমন সম্মেহিত করেছে, তেমনি লাইনের পর লাইন জুড়ে প্রবল কাব্যিক সৌন্দর্য পাঠকদেরও আড়ষ্ট-অভিভূত করে রেখেছে। কেবল রৌদ্রের আঘ্রাণ নয়, তিনি সে রৌদ্রকে দেখেছেন বলীয়ান রূপে। এভাবে পরাবাস্তবের বিমূঢ় দরোজা খুলে দিয়েছেন জীবনানন্দ দাশ।

বিস্ময়ের পর বিস্ময় অপেক্ষা করে আছে এ কবিতায়। জীবনানন্দের অনেক কবিতার মত এখানেও আছে জঙ্গলের রূপময় ও শক্তিমান প্রাণীদের দুর্দ্দান্ত উপস্থিতি; দেখতে পাই আশ্চর্য রূপময় অথচ হিংস্র প্রাণীদের আনাগোনা, তাদের উপমা চিত্রকল্পে এ কবিতার চিড়িয়াখানাটি বর্ণিল ভরে উঠেছে। আছে ‘চিতার উজ্বল চামড়া, প্রেমিক চিলপুরুষ, সাদা বক, হুঙ্কাররত সিংহ, প্রান্তরে উৎক্ষিপ্ত জেব্রা’,মিলনোন্মত্ত বাঘিনী’ও দুরন্ত শকুন। লক্ষণীয় প্রতিটি বিশেষ্যের সাথে চমৎকার সব বিশেষণ তিনি জুড়ে দিয়েছেন; তাঁর কবিতার যে বৈশিষ্ট— চিত্ররূপময়তা— তা ফুটে উঠেছে।

তিনি যে আধুনিক কবি তার প্রকৃষ্ট প্রমান এ কবিতা। আকাশকে তার মনে হয়েছে ‘প্রবল নীল অত্যাচার’, পৃথিবীকে তুলনা করেছেন কীটের সঙ্গে, কবিতাটি শেষ হয়েছে ‘দুরন্ত শকুন দিয়ে। প্রেমকে তুলনা করেছেন ভয়াবহ গম্ভীর স্তম্ভের সাথে। প্রবল নীল যেমন তাকে বিস্মিত করেছে তেমনি ছিড়ে ফেলেছে অত্যাচারে। কবি দূর নক্ষত্রের মাস্তুল কল্পনা করেছেন আর নিজের হৃদয়ের উড়ে যাওয়াকে মনে হয়েছে দুরন্ত শকুনের মতো। প্রবল পাখাসঞ্চারী, শক্তিশালী পাখিটি কিন্তু অশুভের প্রতীক। তাঁর আধুনিক চেতনা এই শেষ লাইনে ধৃত। তাকে বলা হয় বিপন্ন বিস্ময়বোধের কবি, এ কবিতায় রয়েছে সেই বিপন্ন বিস্ময়বোধ। কবি লিখেন ’আড়ষ্ট, অভিভূত হয়ে গেছি আমি’; সঙ্গে তার অগুণিত পাঠকও। তিনি বিপন্নতার কবি হলেও জীবনের প্রতি তাঁর আশাবাদও প্রবল। তিনি এ কবিতায় নিুলিখিত পজিটিভ শব্দাবলী বা শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন :
‘চমৎকার’
‘ঝলমল’
‘জ্বলজ্বল’
‘দিগন্ত-প্লাবিত রৌদ্র’
‘ফেল্টের সবুজ ঘাসের গন্ধ’
যা জীবনের ধনাত্বক চিত্র তুলে ধরে। আধুনিক বলেই তিনি এই সৌন্দর্য ও স্থিতির মাঝে ধ্বংসের অবয়বও দেখ ফেলেন; ভোলেন না জীবন কুসুমাস্তীর্ণ নয়। মিলনোন্মত্ত বাঘিণীর গর্জনের বা সিংহের হুঙ্কারের ভেতর জীবনের উচ্ছসিত প্রকাশই চোখে পড়ে। সাই সাই ধেয়ে চলা বাতাস বা আকাশের নীল সমুদ্রে ভেসে যাওয়া শাদা বক Ñ তারাও তো জীবনের গতিময়তার মূর্ত ছবি, প্রতীক।

কবিতাটি পড়ে প্রতীয়মান হয়, এটি স্বতঃস্ফূর্ত লেখা বা অটোমেটিক রাইটিং। এর সাথে পরে এসে মিশেছে জীবনানন্দীয় ক্রাফটসম্যানশীপ বা নির্মানকুশলতা। কবির হৃদয়ের এক বিপুল দরোজা খুলে গিয়েছিল সেই হাওয়ার রাতে আর তিনি দৈবতাড়িত হয়ে লিখে ফেলেছেন এই কবিতা।কেবল ঘাসের গন্ধ নয়, রৌদ্রের ঘ্রাণও রয়েছে এ কবিতায়। সেই অনুপম রাতটির বর্ণনায় তিনি লিখেন:

১। গভীর হাওয়ার রাত ছিল কাল
২। কাল এমন চমৎকার রাত ছিল
৩। অসংখ্য নক্ষত্রের রাত
৪। কাল এমন আশ্চর্য রাত ছিল

বস্তুত ঐ হাওয়াময়, চমৎকার, আশ্চর্য রাত তাকে অভিভূত করেছিল, পুরোপুরি বুঁদ করে রেখেছিল তার রূপের মদে, আর জয় করেছিল কবির হৃদয়; যে হৃদয় আর পৃথিবী নামক গ্রহে থাকে নি, মহাশূন্যের অবারিত ডানার ভেতর নক্ষত্রমঞ্জরীর ভেতর উড়ে গেছে।কী দুর্দ্দান্তভাবে তার কবিতায় এসে ঠাঁই নেয় বেবিলনের রাণী, এশিরিয়া, মিশর, বিদিশার রূপসীরা। তিনি যখন বলেন, জ্যোৎস্নারাতে বেবিলনের রানীর ঘাড়ের উপর চিতার উজ্বল চামড়ার শালের মতো জ্বলজ্বল করছিল বিশাল আকাশ’ তখন মনে হয় এ কবি ঈশ্বরিক চোখ পেয়ে গেছেন, যিনি মহাশূন্য থেকে দেখছেন পৃথিবী গ্রহটিকে. যিনি কাল ও মহাকালকে একসঙ্গে দেখতে পাচ্ছেন। সত্যি, যিনি হাজার বছর আগের মৃত নক্ষত্র ও আকাশকে বর্তমানের এই রাতের ভেতর উপস্থাপন করেন তিনি তো দৈবদৃষ্টিপ্রাপ্ত! মৃত নক্ষত্রের তিল ঠাঁই নাই ভীড়ের ভিতর ধূসর প্রিয় মৃতদের মুখ দেখতে পাওয়াই এ কবিতাকে নিয়ে গেছে অন্য ডাইমেনশনে।

শুধু রাত নয়, হাওয়া কখনো প্রান্তরের মত ‘বিস্তীর্ণ, কখনো সমুদ্রের মত উত্তুঙ্গ, আবার কখনো বা আকাশের মত নীল। গতিময় হাওয়া যে উত্তুঙ্গ হবে সন্দেহ নেই কোন, তার বিপুল ডানা যে বিস্তীর্ণ, তাও সন্দেহাতীত, কিন্তু নীল? জীবনানন্দ দাশের বেশিরভাগ কবিতাই ছন্দে লেখা। তবে এ কবিতাটি গদ্যভাষ্যে নির্মিত। এখানে ব্যবহৃত হয়েছে দীর্ঘ দীর্ঘ সব পঙক্তি; কোন কোন পংক্তি এতটাই দীঘল যে এক লাইন ছাপিয়ে গড়িয়ে পড়েছে দ্বিতীয় লাইনে। এই দীর্ঘ দীর্ঘ পঙক্তি যেন চরাচরে বিস্তীর্ণ চঞ্চল বায়ুস্রোতকে ধরবার চেষ্টা করেছে, যেখানে কবির স্মৃতির ভেতর দিয়ে রাত্রি জাজ্বল্যমান। গদ্যে লেখার কারণেই তিনি পূর্ণ স্বাধীনতা নিতে পেরেছেন তার বিমূঢ়-বিস্ময়কে ধারণ করার; বর্ণনাতীত এক রাত্রিকে নিপুন বর্ণনায় করে তুলতে পেরেছেন ভাষার এক নিজস্ব সম্পদে।

নক্ষত্র, রাত্রি, আকাশ, বাতাস, সমুদ্র – প্রকৃতির সকল অনুষঙ্গই এখানে আছে; আছে রহস্যময় জঙ্গলের বিচিত্র সব প্রাণী; কিন্তু এরা সকলেই উপলক্ষ্য মাত্র। এ কবিতার মূল বানী জীবনের গভীর জয়কে প্রকাশ করা, এর সুর একই সঙ্গে নস্টালজিক ও বিস্ময়জাগানিয়া। কিনতু ভয়াবহ সৌন্দর্যেও নীল উৎপীড়নই এই অভিভূত কবিকে পিষ্ট করেছে, দার হৃদপিণ্ড পৃথিবী ছেড়ে উড়ে গেছে নীল সমুদ্রে, নক্ষত্র সংসারে। এ এমন এক কবিতা প্রাসাদ যার বহিরাঙ্গের সৌন্দর্য দেখেই বিস্ময়ে বাকহীন হতে হয়, আর অন্দরে প্রবেশ করলে বিস্ময়ের পর বিস্ময় অপেক্ষা করে, জড়ো হতে থাকে নতুনতর সব চমক আর অনুভবের উদ্বোধনের দরোজা খুলে যায়।

সমগ্র বাঙলা কবিতার প্রেক্ষাপটেই এটি একটি শ্রেষ্ঠ কীর্তি। এ কবিতার পাঠ নিতে গেলে তাই বারংবার বিস্মিত হতে হয়।

 

কামরুল হাসান 

জন্ম ২২ ডিসেম্বর, ১৯৬১, শরীয়তপুরে। তিনি মূলত কবি। অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও ভ্রমণ গদ্যকার হিসেবেও খ্যাত। আছে নানা দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।

ভারতের বিশ্বখ্যাত খড়গপুর আইআইটি থেকে এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ সমাপ্ত করেন। এছাড়াও স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোর্ড ও এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কামরুল হাসান শিক্ষকতা করছেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে। কামরুল হাসান  দু’হাতে লেখেন। এপর্যন্ত ১৪ টি কাব্যগ্রন্থ, ১ টি ছোটগল্প, ১টি প্রবন্ধ, ৪টি ভ্রমণ গ্রন্থ, ২ টি অনুবাদ কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সমীর রায় চৌধুরী ও তুষার গায়েনের সাথে পোস্টমর্ডান বাংলা পোয়েট্রি ২০০৩ সম্পাদনা করেছেন।

[email protected]

Facebook Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top