মধ্য শরৎ উৎসব: সুপ্রাচীন চন্দ্রদেবীর গল্প

চীনের অন্যতম প্রধান উৎসব হলো মধ্য শরৎ উৎসব বা মিড অটাম ফেস্টিভাল। এটি শরৎকালীন বা হেমন্তকালীন প্রধান উৎসব। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সুপ্রাচীন চন্দ্রদেবীর আরাধনা এবং ফসল তোলার রীতি রেওয়াজ। এই উৎসব হয় চীনের চান্দ্র পঞ্জিকা বা লুনার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী অষ্টম চান্দ্র মাসের ১৫তম দিনে বা ভরা পূর্ণিমার রাতে। ২০২০ সালে এ দিনটি পড়েছে ১ অক্টোবর। চীনের উৎসবগুলো বেশিরভাগই চাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রাচীন তাও ধর্ম, কনফুসিয়াসের ধর্ম এবং বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে মিলেছে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার বছর ধরে স্থানীয়ভাবে প্রচলিত বিভিন্ন লোকজ ধর্ম, রীতিনীতি, প্রাচীন প্রথা ইত্যাদি। এসবগুলোই এখন যত না ধর্মীয় তারচেয়ে অনেক বেশি সাংস্কৃতিক উৎসব। মধ্য শরৎ উৎসবের চীনা নাম হলো চোং ছিউ চিয়ে।

মধ্য শরৎ উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তিনটি পৌরাণিক কাহিনী। প্রথমটি হলো চন্দ্রদেবী চাংগ ই কে নিয়ে। চাং ই হলেন চীনের প্রাচীন চন্দ্রদেবী। তিনি বাস করেন চাঁদের বুকে। তিনি কিভাবে চাঁদে পৌঁছুলেন সে নিয়ে রয়েছে করুণ গল্প।

অনেক অনেক বছর আগে আকাশে উঠেছিল দশটি সূর্য। সেই দশ সূর্যের তাপে মানুষের জীবন হয়ে পড়লো অতিষ্ঠ। সূর্যের তাপে পুড়ে গেল ক্ষেতের ফসল, শুকিয়ে গেল নদীর জল। তখন মানুষকে দুর্দশা থেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন বীর তীরন্দাজ হোও ই। তিনি তীর ধনুক দিয়ে নয়টি সূর্যকে কুপোকাত করলেন। পৃথিবীর জন্য একটি সূর্যই যথেষ্ট বলে রয়ে গেল একটিমাত্র সূর্য। হোওইর এই বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে দেবরানী মা মতান্তরে দেবতারা হোওইকে দিলেন এক বোতল অমৃত। এই অমৃত খেলে তিনি অমর হবেন এবং দেবতায় পরিণত হয়ে অমৃতলোকে চলে যাবেন। হোওই যদিও অমরত্ব চাইতেন কারণ সেটি কে না চায়, কিন্তু তিনি তার স্ত্রী চাংগ ইকে খুব বেশি ভালোবাসতেন। অমর হওয়ার চেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মর্ত্যলোকে বাস করাটাই তার বেশি কাম্য ছিল। তাই তিনি বোতলটি ঘরে এনে রেখে দিলেন। এদিকে ফাং মাং নামে হোওইর এক লোভী শিষ্য ছিল। একদিন হোওই যখন বাইরে গেছেন তখন ফাং মাং সেই অমৃত চুরি করে খাওয়ার চেষ্টা করে। ফাং মাংএর মতো খারাপ লোক যেন অমর হতে না পারে তাই চাংগ ই দ্রুত অমৃত পান করে ফেলেন। তার শরীর হালকা হয়ে যেতে থাকে এবং তিনি চাঁদে পৌছে যান। সেখানেই বাস করতে থাকেন তিনি। তিনি পরিণত হন চাঁদের দেবীতে। বিরহকাতর হোওই তাকে স্মরণ করে চাঁদের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করেন এবং চাঁদের প্রতি নানা রকম নৈবদ্য উৎসর্গ করেন। মধ্য শরৎ উৎসবের রাতে পূর্ণিমার চাঁদে চাংগ ইর ছায়া দেখা যায়। সে রাতেই একমাত্র চাংগ ইর সঙ্গে মিলিত হতে পারেন হোওই।

এই কাহিনীর বিপরীত আরেকটি কাহিনীও আছে। সেখানে বলা হয় হোওই যখন বীর হিসেবে খ্যাতি পান তখন তাকে রাজা বানানো হয়। কিন্তু কালক্রমে তিনি হয়ে ওঠেন স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী। চাংগ ই মনে করেন, এই অত্যাচারী রাজা যদি অমর হয়ে যায় তাহলে জনগণের দুর্দশার শেষ থাকবে না। তাই স্বামী যেন অমর হতে না পারে সেজন্য চাংগ ই নিজেই অমৃত পান করেন। হোওই রাগের বশে স্ত্রীকে মারতে চান। কিন্তু তার আগেই চাংগ ই পৌছে যান চাঁদে। রাগ ও হতাশায় মৃত্যুবরণ করেন হোওই। আর জনগণ চাংগ ইর এই মঙ্গলময় কাজে প্রীত হয়ে তার উদ্দেশ্যে পূজা ও অর্ঘ্য দান করে, প্রার্থনা করে যেন চাংগ ই তাদের আশীর্বাদ দেন।

মধ্য শরৎ উৎসবের রাতে পূর্ণিমার চাঁদ যখন হয়ে ওঠে বছরের সবচেয়ে ঝলমলে তখন চীনের ছেলেমেয়েরা চন্দ্রদেবী চাংগ ইকে দেখতে পায় চাঁদের বুকে।

এই উৎসবের আরেকটি গল্প হলো চাঁদের বুকে জেড পাথরের খরগোশ নিয়ে। চন্দ্রদেবী চাংগ ইর সঙ্গে চাঁদে একটি খরগোশকেও দেখা যায়। কিভাবে সেই খরগোশ পৌছে গেল চাঁদে? এর পিছনে রয়েছে একটি চমৎকার গল্প। অনেক বছর আগে এক বনে বাস করতো তিনটি প্রাণী। একটি খরগোশ, একটি বানর ও একটি শিয়াল। তারা তিনজনেই ছিল খুব ধর্মপ্রাণ। তাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ধর্মপ্রাণ ও অতিথিবৎসল না দেখার জন্য তিনজন অমর মানুষ বা তিনজন দেবতা সেই বনে আসেন ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে। তারা খাদ্য ভিক্ষা করেন। বানর ও শিয়াল তাদের নানা রকম খাদ্য দান করে। খরগোশ ছিল দরিদ্র, তার কাছে কোন খাবার ছিল না। কিন্তু সে ছিল সবচেয়ে বেশি ধার্মিক। খরগোশ তার দুয়ারে আগত অতিথিদের বলে, ‘আমি দুঃখিত, আমার কাছে কোন খাবার নেই। কিন্তু আমি নিজেকেই আপনাদের সেবায় উৎসর্গ করছি।’ এই বলে সে আগুনে লাফিয়ে পড়ে যেন তার মাংস খেয়ে অতিথিরা ক্ষুধা নিবৃত্তি করতে পারে। খরগোশের এই আত্মত্যাগে অমর দেবতারা আপ্লুত হন। তারা খরগোশকে জীবন দান করে পবিত্র জেড পাথরের বানিয়ে দেন এবং তাকে অমর করে চাঁদের প্রাসাদে স্থান দেন। সেখানে সে চন্দ্রদেবী চাংগ ইর সঙ্গে পরম সুখে আছে।

এখানে মনে পড়ে আর্য পুরাণেও চাঁদকে শশধর বলা হয় কারণ চাঁদে একটি শশক বা খরগোশ রয়েছে।

চীনের শিশুরা চাঁদে খরগোশটিকে দেখতে পায় মধ্য শরৎ উৎসবের রাতে।

এই উৎসব নিয়ে আরও একটি কাহিনী আছে। উগাং ছিল একজন কাঠুরে এবং সে অমরত্ব চাইতো। কিন্তু অমর হওয়ার বিদ্যা বা সাধনা কোনটাই তার ছিল না। তার এই অহেতুক উচ্চাশায় বিরক্ত হন স্বর্গের সম্রাট। তিনি উগাংকে শাস্তি দেওয়ার জন্য চাঁদে বিশাল একটি চেরি গাছের সৃষ্টি করেন। চেরি গাছটি লম্বায় হলো ১৬৬৫ মিটার। তিনি উগাংকে বলেন সে যদি এই গাছ কাটতে পারে তাহলে তাকে অমরত্ব দান করা হবে। উগাং প্রাণপন চেষ্টা করতে থাকে গাছটি কেটে ফেলার। কিন্তু সেই গাছ যতখানি কাটা হয় ততোখানি আবার জোড়া লেগে যায়। ফলে উগাং কখনও গাছটি কাটতে পারে না। তবে সে এখনও চেষ্টা করে চলেছে। চাঁদের বুকে যে কালো ছায়া দেখা যায় সেটি হলো সেই চেরি গাছের। অন্তত চীনের মানুষের তাই ধারণা।

মধ্য শরৎ উৎসব মূলত ফসল তোলার উৎসব। এসময় হেমন্তের নতুন ফসল ওঠে। চাঁদের পূর্ণতা প্রাপ্তি হলো পুনর্মিলনের আহ্বান। তাই এ উৎসবে সবাই পরিবারের কাছে ফিরে আসে। সেখানে রাতের খাবার একসঙ্গে খায়। প্রার্থনা করে সমৃদ্ধ জীবনের এবং ধন্যবাদ জানায় ভালো ফলনের জন্য। এই উৎসব শাং রাজবংশের(খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০-১০৪৬)সময় থেকে চীনে প্রচলিত রয়েছে। প্রাচীন জনগণ মনে করতো মঙ্গলময় দেবতা ড্রাগন যে বৃষ্টি দিয়েছেন সেকারণে ভালো ফসল হযেছে। আর এই ফলনের জন্য তারা ফসল তোলার পর পরিবারের সঙ্গে একত্র হয়ে কৃতজ্ঞতা জানাতো এবং প্রার্থনা করতো। থাং রাজবংশের (৬১৮-৯০৭ খ্রিস্টাব্দ)সময় এই উৎসব জনপ্রিয়তা পায়। থাং সম্রাট শুয়ানচোং রাজপ্রাসাদে জাঁকজমকের সঙ্গে এই উৎসব পালন শুরু করেন। এ সময় চন্দ্রদেবী থাইইন শিংযুন এর উদ্দেশ্যে অর্ঘ্যদান করা হয়। এই প্রথা মিলে যায় প্রাচীন তাওধর্ম ও চীনের লোকজ ধর্মের প্রথার সঙ্গে।

এর সঙ্গে অবশ্যই জড়িয়ে আছে আরও প্রাচীন চন্দ্রপূজার প্রথা। প্রাচীন চীনে অনেক সময় চাঁদকে উর্বরতার প্রতীক বলেও মনে করা হতো। চাঁদের সঙ্গে নারীর রজঃস্বলা হওয়ার এবং সূর্যের সঙ্গে পুরুষত্বের সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হতো। চাঁদ হলো নারী, সূর্য হলো পুরুষ এবং নক্ষত্ররা হলো তাদের সন্তান এমন একটি বিশ্বাসও প্রচলিত ছিল। চীনের অনেক অঞ্চলে চাঁদকে নারীরা পূজা করতো আর সূর্যকে পুরুষরা।

উর্বরতা ও ফসলের সঙ্গে চন্দ্রদেবী বা অন্য কোন দেবীর পূজা, নানা রকম রীতিরেওয়াজ, এমনকি কখনও কখনও কাল্ট বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলেই রয়েছে। গ্রেকো রোমান পুরাণের দিমিতির, জাপানিদের হুইচি, কেলটিকদের ফসলদেবীর পূজার সময় কাল্টও ছিল। চীনের প্রাচীন লোকজ উপাখ্যানেও ফসল তোলার পৃথক উৎসব ও প্রাচীন লোকরীতির উল্লেখ রয়েছে। বেইজিং শহরে চারটি প্রধান মন্দিরের অন্যতম হলো থিয়েনথান বা স্বর্গমন্দির। প্রাচীন চীনে রাজারা এই মন্দিরে আসতেন স্বর্গের কাছে প্রার্থনা জানাতে ফসল যেন ভালো হয়।

থিয়েনথানে প্রার্থনা ও বিভিন্ন লোকজ আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফসলের মঙ্গল কামনা করা হতো। এই উৎসব পরে এক হয়ে যায় মধ্য শরৎ উৎসবের সঙ্গে। মধ্য শরৎ উৎসবের একটি প্রধান অনুষঙ্গ হলো মুনকেক খাওয়া। মুনকেকের চীনা নাম হলো ইয়ুয়ে বিং। মুনকেক তৈরি হয় নতুন ওঠা ফসল দিয়ে। এটি হয় গোলাকার যা পুনর্মিলন ও পূর্ণচাঁদের প্রতীক।

এই উৎসবের আরেকটি অনুষঙ্গ হলো লণ্ঠন বা ল্যানটার্ন উৎসব এবং ফানুস ওড়ানো। এসময় চীনা লণ্ঠন জ্বালানো হয় এবং ফানুস ওড়ানো হয়। এই ফানুস ওড়ানো উৎসব কাছাকাছি সময়ে ভিয়েতনামেও পালন করা হয়। আরেকটি উৎসব হলো মধ্য শরৎ উৎসবের এক মাস আগে প্রেতাত্মা উৎসব। সেই উৎসবে প্রেতাত্মাদের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের পর লণ্ঠন জ্বালানো হয় এবং সেই লণ্ঠন মধ্য শরৎ উৎসব পর্যন্ত জ্বালিয়ে রাখা হয়। এ সময় ফানুস ওড়ানোর প্রথা মনে পড়িয়ে দেয় প্রবারণা পূর্ণিমায়( লক্ষ্মী পূর্ণিমা বা কোজাগরী পূর্ণিমা) বৌদ্ধদের ফানুস ওড়ানো ও প্রদীপ ভাসানোর প্রথার কথা। এ সময় দক্ষিণ চীনে ঐতিহ্যবাহী লায়ন ডান্স অনুষ্ঠানের প্রথাও রয়েছে।

মুনকেকে পদ্মফুলের বীজ পুর হিসেবে ব্যবহার হয় অথবা বিভিন্ন রকম পুর ব্যবহার করে মুনকেক তৈরি হয়। বন্ধুবান্ধবকে মুনকেক উপহার দেয়ার প্রথাও রয়েছে। চাংগ ইর মন্দিরে আগরবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করাও এই উৎসবের একটি রীতি। এই সময় অনেকে বিয়ে করেন। নব দম্পতি চন্দ্রদেবীর কাছে সন্তান লাভের প্রার্থনাও জানান।
জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশেও মধ্য শরৎ উৎসবের কাছাকাছি সময়ে অনুরূপ উৎসবের প্রথা রয়েছে।

আমি চীনে বেশ কয়েকবার মধ্য শরৎ উৎসব উদযাপন দেখেছি। বেইজিং এবং কুনমিংয়ের কয়েকটি খ্যাতিমান দোকান রয়েছে। এগুলো মুনকেক তৈরির জন্য বিখ্যাত। সাধারণত সুদৃশ্য বাক্সের ভিতর বারোটি বা এর বেশি মুনকেক থাকে। একেকটি একেক স্বাদের। মুনকেকের উপর নানা রকম নকশা করা থাকে। সেই বাক্স একে অন্যকে উপহার দেয়। মধ্য শরৎ উৎসবের নিমন্ত্রণে গেলে এই বাক্স হাতে করে নিমন্ত্রণকর্তার জন্য উপহার নিয়ে যাওয়ার নিয়ম। এই উৎসবের সময় অনেকে কাসিয়া ওয়াইন (খুয়েই হুয়া চেন চিউ)পান করেন। এটি হলো মৃদু অ্যালকোহল যুক্ত এবং ফুলের সুরভিতে সুরভিত একধরনের পানীয়।

মধ্য শরৎ উৎসবের সময় চীনের আবহাওয়া থাকে অত্যন্ত মনোরম। বেইজিংয়ে একটু একটু শীত পড়ে। কুনমিং এবং অন্যান্য শহরেও শরতের বাতাস বইতে থাকে। চাঁদের সুষমাও অপূর্ব হয়ে ওঠে। আমার ভাবতে খুব ভালো লাগে এ সময় প্রাচীন এক সুন্দরী চন্দ্রদেবী হেঁটে বেড়ান চাঁদের বুকে। তার রূপ উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সুপ্রাচীন জনপদের জোছনায়।

 

শান্তা মারিয়া

২৪ এপ্রিল, ১৯৭০ ঢাকায় জন্ম।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে পড়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স। বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্পে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহমা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় নারী নেতৃত্ব বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

১৯৯৭ সালে দৈনিক মুক্তকণ্ঠে সাংবাদিকতা শুরু। এরপর জনকণ্ঠ, আমাদের সময়, রেডিওআমার ও চীনআন্তর্জাতিক বেতার এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকম-এ সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। সর্বশেষ আমাদের সময় পত্রিকায় ফিচার এডিটর পদে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে চীনের ইউননান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার শিক্ষক। পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটসহ মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে পেপার উপস্থাপন করেছেন। কবিতা, গল্প ও ভ্রমণকাহিনি প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। এ পর্যন্ত ৫টি কাব্যগ্রন্থসহ ১২টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, চীন, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল এবং বাংলাদেশের প্রায় সবক’টি জেলায় ভ্রমণ করেছেন। জ্ঞানতাপস ভাষাবিদ ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পৌত্রী ও ভাষাসৈনিক এবং বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী মুহম্মদ তকিয়ূল্লাহর কন্যা। ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। মিথোলজি ও ইতিহাসপাঠ শান্তা মারিয়ার প্রিয় নেশা।

Facebook Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top