পার্সিউস: সৌভাগ্যবান দেবপুত্র

গ্রেকো রোমান মিথোলজির এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র পার্সিউস। পেগাস্যাস নামের পংখীরাজ ঘোড়ার জন্মের ইতিহাসের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে পার্সিউসের নাম।

গ্রিক পুরাণের বিখ্যাত বীরদের মধ্যে পার্সিউস ছিলেন বিশেষ সৌভাগ্যবান কারণ হারকিউলিস, জ্যাসন, থিসিউস ও একিলিসের মতো কোনো দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু বরণ করতে হয়নি তাকে। তবে একটি ভবিষ্যতবাণীর কারণে তাকে এবং তার মাকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়।

পার্সিউস ছিলেন ডেমিগড। তার বাবা ছিলেন দেবরাজ জিউস এবং মা আর্গোসের রাজকন্যা ড্যানি। আর্গোসের রাজা অ্যাক্রিসিউসের একমাত্র সন্তান ছিলেন ড্যানি। ভবিষ্যতে কোনো পুত্র সন্তান হবে কি না এ কথা জানতে ডেলফিতে যান রাজা। ভবিষ্যতবাণী হয় কোনো পুত্র সন্তান হবে না এবং ড্যানির সন্তানের হাতে নিহত হবেন তিনি। এ ভয়ানক ভবিষ্যতবাণী শুনে রাজা প্রাসাদে ফিরেই এর প্রতিকার করতে উদ্যত হলেন। তিনি ড্যানিকে হত্যা করতে পারলেন না কারণ বিনা দোষে নিকট আত্মীয়কে হত্যা করলে প্রতিহিংসার দেবী এরেনিবৃন্দ ভয়ংকরভাবে তাড়া করে। অগত্যা অ্যাক্রিসিউস ড্যানিকে ব্রোঞ্জের তৈরি এক পাতাল ঘরে বন্দী করে রাখলেন।

সেই পাতালঘরে কারও প্রবেশের সাধ্য নেই। শুধু ছাদের দিকে এক ছোট্ট প্রকোষ্ঠ দিয়ে সামান্য সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে। কুমারী ড্যানি সেই ঘরে বন্দী হয়ে রইলেন।

এদিকে একদিন জিউসের নজরে পড়লেন অপরূপা সুন্দরী ড্যানি। জিউস আলোর বৃষ্টি হয়ে আবির্ভূত হলেন সেই পাতাল ঘরে এবং মিলিত হলেন ড্যানির সঙ্গে। ফলে যথাসময়ে এক পুত্র সন্তান প্রসব করলেন ড্যানি। পাতাল ঘরে শিশুর কান্নার শব্দ শুনে চমকে উঠলেন রাজা অ্যাক্রিসিউস। বুঝলেন ভূমিষ্ট হয়েছে সেই শিশু। তিনি এটাও বুঝলেন এই শিশুর পিতা অবশ্যই কোনো দেবতা। তাই তাকে হত্যা করতে সাহসী হলেন না রাজা। বরং এমন এক উপায় করলেন যাতে নিষ্কৃতিও পাওয়া যায় আর শিশুহত্যার পাপ না হয়। তিনি ড্যানি ও তার শিশুসন্তানকে একটা কাঠের সিন্দুকে ভরে ভাসিয়ে দিলেন সমুদ্রে।
এদিকে জিউস প্রেমিকা ও সন্তানকে রক্ষা করার জন্য তার ভাই মহাসাগর দেবতা পোসাইডনকে অনুরোধ করায় সাগরের ঢেউ সিন্দুকটিকে পৌঁছে দিল সেরিফাস দ্বীপে।

সমুদ্র সৈকতে সিন্দুকটিকে দেখে ডিকটিস নামে এক দয়াবান জেলে তাদের উদ্ধার করলেন। মা ও শিশুকে তিনি নিয়ে গেলেন নিজের বাড়িতে। সেখানে নিজের মেয়ে ও নাতির মতো তাদের আশ্রয় দিলেন ডিকটিস। ড্যানি ছেলের নাম রাখলেন পার্সিউস। ডিকটিসের বাড়িতে বেশ আরামেই দিন কাটতে লাগল মা ও ছেলের। অমিত শক্তিধর তরুণ হয়ে বেড়ে উঠলেন পার্সিউস। তিনি ডিকটিসকে সাহায্য করতেন মাছ ধরার কাজে।
ডিকটিসের ভাই পলিডিকটিস ছিলেন সেই মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের অধিপতি বা সেই দ্বীপের রাজা। একদিন ড্যানির ওপর নজর পড়ল তার। ড্যানি তখনও ছিলেন অপরূপ সুন্দরী। ড্যানিকে বিয়ে করার ইচ্ছা জাগল পলিডিকটিসের মনে । কিন্তু ড্যানি এতে রাজি হলেন না। বীর পার্সিউসের উপস্থিতিতে ড্যানির উপর জোর খাটানো সম্ভব নয় বুঝতে পেরে পলিডিকটিস কৌশলে পথের কাঁটা দূর করার বুদ্ধি বের করলেন। রাজপ্রাসাদে এক বিশাল ভোজের আয়োজন হল। নিমন্ত্রিতদের তালিকায় পার্সিউসও ছিলেন। সকলে বিভিন্ন উপহার নিয়ে গেলেও দরিদ্র পার্সিউস গেলেন খালি হাতে। খালি হাতে যাওয়ায় রাজার অনুচররা চরমভাবে উপহাস করল তাকে। পার্সিউস তখন বললেন, রাজা যে উপহার চাইবেন তাই তিনি এনে দিতে প্রস্তত। চতুর রাজা পার্সিউসের কাছে উপহার হিসেবে চাইলেন মেডুসার মাথা। তারুণ্যদীপ্ত পার্সিউসও রাজি হলেন তা দিতে।
পার্সিউস অবশ্য জানতেন না কি ভয়ানক কাজ করতে রাজি হয়েছেন তিনি।

গর্গন নামে তিন দানবী ছিল। তারা তিন বোন। তাদের অন্যতমা মেডুসা। তিন বোনের মধ্যে একমাত্র মেডুসাই ছিল মরণশীল। তাদের ড্রাগনের মতো শরীর, সারা গায়ে সোনালি আঁশ, চেহারা নারীর, মাথায় চুলের বদলে সাপ। আর সবচেয়ে ভয়ংকর হলো গর্গনদের দিকে যে তাকাবে সেই পাথরে পরিণত হবে। অবশ্য মেডুসা জন্ম থেকেই এমন বিকট দানবী ছিল কিনা তা নিয়ে মতভেদ আছে। কোন কোন পুরাণকারের মতে মেডুসা ছিল খুবই সুন্দরী। এজন্য মহাসাগর দেবতা পোসাইডন তার প্রেমে পড়েন। অ্যাথিনীর মন্দিরের ভিতরে পোসাইডন ও মেডুসার মিলন ঘটে। এতে মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট হলে চিরকুমারী অ্যাথিনী ক্রুদ্ধ হয়ে শাপ দেন। তার শাপেই মেডুসার চেহারা হয়ে ওঠে বিকট এবং চুল পরিণত হয় সাপে। মেডুসা গর্গনদের রানী ছিল বলে হোমার উল্লেখ করেছেন। হেসিওডের পুরাণ অনুযায়ী মেডুসা জন্ম থেকেই ছিল বিকট।

গর্গনরা কোন দ্বীপে বাস করে তা কেউ জানতো না। পার্সিউস গেলেন ডেলফিতে। কিন্তু শুধু এটুকু জানা গেল যে জিউসের নিজস্ব দ্বীপ ডোডোনাতে কিছু খবর পাওয়া যেতে পারে। ডোডোনার ওক গাছরা তাকে জানাল যে দেবতারা তার পক্ষে আছেন।

পার্সিউস যখন ক্লান্ত ও হতাশ সে সময় তার সাহায্যে এগিয়ে এলেন জিউসের বার্তাবাহক দেবতা হার্মিস এবং দেবী অ্যাথেনি। হার্মিস তাকে বললেন যে গর্গনদের সন্ধান জানতে তাকে যেতে হবে উত্তরের জাদুর দেশে যেখানে সবকিছুই ধূসর এবং যেখানে বাস করে তিন মায়াবিনী বৃদ্ধা গ্রেইয়া। হার্মিস তাকে দিলেন নিজের পাখাযুক্ত জুতো আর ধারালো তরবারি। অ্যাথেনি দিলেন তার ঢাল যা আয়নার মতো উজ্জ্বল আর দিলেন একটি রূপার থলে। হার্মিসের মাধ্যমে হেডিস দিলেন তার জাদুর টুপি যা পরলে অদৃশ্য হওয়া যায়।
গ্রেইয়ারা তিন বোন। তাদের তিনজনের একটি মাত্র চোখ। একটি মাত্র চোখ একে অন্যের কাছ থেকে নিয়ে পৃথিবী দেখে তারা। হার্মিসের বুদ্ধি অনুযায়ী এক জন যখন অন্যজনের কাছ থেকে চোখটি নিচ্ছিল ঠিক সে সময় পার্সিউস ছিনিয়ে নিলেন সেটি। গর্গনদের ঠিকানা না বলা পর্যন্ত চোখটি ফিরিয়ে দিলেন না তিনি। এবার যাত্রা শুরু হলো গর্গনদের দ্বীপে।

গর্গনদের দ্বীপে যখন পার্সিউস পৌঁছালেন তখন তারা ঘুমিয়ে ছিল। পার্সিউস অ্যাথেনি ও হার্মিসের বুদ্ধি অনুসারে গর্গনদের দিকে না তাকিয়ে উজ্জ্বল ঢালটিতে কেবল প্রতিবিম্ব দেখে এক কোপে মেডুসার মাথা কেটে ফেললেন এবং তা ভরলেন রূপার থলেটিতে। মেডুসাকে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। মেডুসার ছিন্ন কণ্ঠ দিয়ে বেরিয়ে আসে তার গর্ভস্থ সন্তান। সেই সন্তান হলো পংখীরাজ ঘোড়া পেগ্যাসাস। মেডুসা ও সমুদ্রদেবতা পোসাইডনের মিলনের ফসল হলো পেগাস্যাস। এদিকে মেডুসার কাটা মাথা নিয়ে পার্সিউস উড়ে চললেন নিজের দেশের উদ্দেশ্যে। মেডুসার কাটা মাথা থেকে রক্তবিন্দু ঝরে পড়ার ফলে অসংখ্য সাপের জন্ম হয়। সেসব সাপ লিবিয়ার মরুভূমির বাসিন্দা হয়।

পথিমধ্যে তিনি ইথিওপিয়াতে এসে দেখলেন সমুদ্রতীরে পাহাড়ের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে এক সুন্দরী তরুণী। ঘটনা জানতে পার্সিউস তৎক্ষণাৎ সেখানে নামলেন। মেয়েটি ছিল ইথিওপিয়ার রাজা সেফেউসের কন্যা অ্যান্ড্রোমিডা।

ইথিওপিয়ার রানি একবার গর্ব করে বলেছিলেন যে তার মেয়ে সাগর দেবতা নেরেউসের কন্যাদের চাইতেও সুন্দরী। ফলে নেমে আসে দেবতার অভিশাপ। এক সাগরদানব দেশ ধ্বংস করতে আসে। দৈববাণী হয় যদি সাগরদানবের খাদ্য হিসেবে অ্যান্ড্রোমিডাকে দেওয়া হয় তাহলে রক্ষা পাবে দেশ। বাধ্য হয়ে রাজা তাই উৎসর্গ করেন মেয়েকে।

অ্যান্ড্রোমিডাকে উদ্ধার করার সংকল্প করেন পার্সিউস। এই সময়ের মধ্যে ভয়ে মৃতপ্রায় রাজকন্যার কাছ থেকে বিশদ কাহিনী জেনে নেন এবং তাকে উদ্ধারের আশ্বাস দেন। পার্সিউস সাগর দানবের আসার অপেক্ষায় রইলেন আর অতি সহজেই মেডুসার মাথা দেখিয়ে তাকে পাথরে পরিণত করেলেন। এরপর রাজকন্যাকে তিনি নিয়ে গেলেন রাজপ্রাসাদে। সেখানে অ্যান্ড্রোমিডার পিতা ইথোপিয়ার রাজার অনুমতিতে তার বিয়ে হলো পার্সিউসের সঙ্গে। নতুন বউ নিয়ে তিনি আবার রওনা হলেন সেরিফাস দ্বীপের দিকে। অ্যান্ড্রোমিডাকে বিয়ে করে পার্সিউস যেদিন সেরিফাস দ্বীপে ফিরলেন সেদিন রাজপ্রাসাদে চলছিল রাজার বিয়ের উৎসব। জোর করে ড্যানিকে বিয়ে করার উদ্যোগ করেছিলেন পলিডিকটিস। ড্যানি রাজি ছিলেন না মোটেই। কিন্তু পলিডিকটিস ধরে নিয়েছিল যে পার্সিউসের অবশ্যই মৃত্যু হয়েছে। এখন ড্যানিকে বাঁচানোর আর কেউ নেই।
ঠিক সময়ে সেখানে হাজির হলেন পার্সিউস। ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি রাজা আর তার অনুচরদের সামনে থলে থেকে বের করলেন মেডুসার কাটা মাথা। মুহূর্তের মধ্যে পাথরে পরিণত হলো তারা সবাই।

ছেলেকে ফিরে পেয়ে ড্যানি খুলে বললেন তার পিতৃপরিচয়। তিনি নিজে যে আর্গোসের রাজকন্যা ছিলেন সে কথাও জানালেন। যদিও ড্যানি জানতেন না তার দুভার্গ্যরে হেতু সেই ভবিষ্যতবাণীর কথা।

মেডুসার মাথা ও ঢাল অ্যাথেনিকে এবং হার্মিসকে ডানাযুক্ত জুতা ফিরিয়ে দিয়ে পার্সিউস চললেন মাতামহের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু আর্গোসে গিয়ে তিনি শুনলেন দেশের লোক তাকে বিতাড়িত করেছে এবং তার সন্ধান কেউ জানে না।

পার্সিউস তখন চললেন উত্তরের রাজ্য ল্যারিসাতে কারণ সেখানকার রাজা এক বিশাল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন।

পার্সিউস প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন। চাকতি নিক্ষেপের সময় তিনি এত জোরে চাকতি নিক্ষেপ করলেন যে তা গিয়ে পড়ল দর্শক সারিতে। দর্শকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাক্রিসিউস। চাকতিটি তার মাথায় আঘাত করায় সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হল তার। পার্সিউস জানতে পারলেন তিনি নিজের নানাকে হত্যা করেছেন। এভাবে ভবিষ্যতবাণী সত্যে পরিণত হলো।

মাতামহের মৃত্যুর পর পার্সিউস আর্গোসের সিংসনের উত্তরাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তা গ্রহণ করলেন না। কারণ মৃত মাতামহের জন্য শোক ও নিজের কৃতকর্মের অনুশোচনা তাকে সিংহাসনে বসতে মানসিক সমর্থন দেয়নি। সেরিফাস দ্বীপের শাসনভার তিনি দিলেন তার পালকপিতা ডিকটিসকে। তারপর ড্যানি ও অ্যান্ড্রোমিডাকে নিয়ে তিনি এশিয়া ভ্রমণে যান। সেখানে তিনি নতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন যার নাম হয় পার্সিয়া বা পারস্য। কোনো পুরাণে পার্সিউসকে পারস্যের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়েছে। কোথাও বলা হয়েছে তিনি মাইসিনি রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। আবার বলা হয়েছে পার্সেপলিস নগরীর নামকরণ হয়েছে তার নামে।
তবে তার শেষ জীবন বেশ সুখেই অতিবাহিত হয়। মৃত্যুর পর জিউস তাকে ও অ্যান্ড্রোমিডাকে পাশাপাশি নক্ষত্রলোকে স্থান দেন। গ্রিক বীর হারকিউলিস ছিলেন পার্সিউসের বংশধর।

 

শান্তা মারিয়া

২৪ এপ্রিল, ১৯৭০ ঢাকায় জন্ম।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে পড়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স। বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্পে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহমা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় নারী নেতৃত্ব বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

১৯৯৭ সালে দৈনিক মুক্তকণ্ঠে সাংবাদিকতা শুরু। এরপর জনকণ্ঠ, আমাদের সময়, রেডিওআমার ও চীনআন্তর্জাতিক বেতার এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরডটকম-এ সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। সর্বশেষ আমাদের সময় পত্রিকায় ফিচার এডিটর পদে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে চীনের ইউননান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার শিক্ষক। পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটসহ মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে পেপার উপস্থাপন করেছেন। কবিতা, গল্প ও ভ্রমণকাহিনি প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। এ পর্যন্ত ৫টি কাব্যগ্রন্থসহ ১২টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, চীন, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল এবং বাংলাদেশের প্রায় সবক’টি জেলায় ভ্রমণ করেছেন। জ্ঞানতাপস ভাষাবিদ ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পৌত্রী ও ভাষাসৈনিক এবং বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী মুহম্মদ তকিয়ূল্লাহর কন্যা। ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। মিথোলজি ও ইতিহাসপাঠ শান্তা মারিয়ার প্রিয় নেশা।

Facebook Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top