ট্রান্সট্রোমারের কবিতা: পর্ব-৩

 

 

রাত্রিগীতি

রাত্তিরে একটা গ্রামের ভেতর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলাম, আর
বাড়িগুলো সব আমার হেডলাইটের তীব্র আলোয় উঠে আসছিল─
তারা এখন জাগ্রত, তারা এখন পান করতে চায়। ঘরবাড়ি, গোলাঘর,
বিলবোর্ড, পরিত্যক্ত গাড়ি─ তারা এখন গায়ে জীবন জড়িয়ে নিয়েছে।
─লোকজন সব ঘুমিয়ে আছে:

কিছু লোক শান্তিতেই ঘুমায়, বাকিদের মুখগুলি টানটান হয়ে থাকে
যেন তারা অনন্তের কঠিন প্রশিক্ষণে প্রবেশ করেছে। গভীর ঘুমের
মধ্যেও তারা মুক্ত হতে পারে না। তারা অবনমিত একটা ব্যারিয়ারের
মতো পড়ে থাকে যখন রহস্য ক্রমাগত পার হয়ে যাচ্ছে।

গ্রাম ছাড়িয়ে রাস্তাটা অরণ্যের বৃক্ষরাজির ভেতর দিয়ে চলে গেছে।
আর বৃক্ষের পর বৃক্ষের দলবদ্ধ ঐকতানিক নৈঃশব্দ্য।
তাদের রঙটা খুব নাটকীয়, আগুনের আলোর মতো। প্রত্যেকটি
পাতা কি স্পষ্ট! তারা আমাকে বাড়ি অবধি অনুসরণ করে।

আমি ঘুমানোর জন্যে শুয়ে পড়ি, আর দেখি অদ্ভুত অদ্ভুত সব
ছবি আর প্রতীকগুলো আমার চোখের পাতার পেছনে অন্ধকার
দেয়ালের ওপর হিজিবিজি এঁকে চলেছে। জাগৃতি আর স্বপ্নের ফাঁক
দিয়ে বিশাল একটা চিঠি ঢুকে পড়বার নিষ্ফল চেষ্টায় রত।

……….
রাত্রিগীতি: Nocturne; রাত্রির একটি ছবি; (Music) রোম্যান্টিক প্রকৃতির সংক্ষিপ্ত একটি পিয়ানো কম্পোজিশন। ব্যারিয়ার: barrier; লেভেল ক্রসিঙের প্রতিবন্ধক।

[Robin Fulton  অনূদিত Nocturne থেকে।]

 

অরণ্যের ভেতরকার ফাঁকা জায়গাটায়

অরণ্যের গভীরে অপ্রত্যাশিত একটা ফাঁকা জায়গা, যেখানটায় শুধু পথ হারানো
লোকেরাই পৌঁছাতে পারে।

অরণ্য পরিবেষ্টিত এই ফাঁকা জায়গাটা নিজেই নিজের শ্বাসরোধ করে ফেলছে।
কালো কালো গুঁড়িগুলোতে ছত্রাকের ছাইরঙা খোঁচা-খোঁচা দাড়ি। কঠিনভাবে
জড়িয়ে-পেঁচিয়ে ওঠা গাছগুলো একদম চূড়া পর্যন্ত মৃত, যেখানে কয়েকটি নির্জন
সবুজ শাখা আলো ছুঁয়ে আছে। তাদের নিচে: ছায়ার ওপর তা দিচ্ছে ছায়া, আর
জলাভূমি বেড়ে উঠছে।

কিন্তু এই ফাঁকা জায়গাটায় ঘাসগুলো আশ্চর্যরকম সবুজ আর জীবন্ত। এখানে
বড় বড় সব পাথর পড়ে রয়েছে যেন সেগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলো
নিশ্চয়ই কোনো বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর, অবশ্য আমার ভুলও হতে পারে। এখানে কারা
থাকতো? কেউই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবে না। কোথাও কোনো আর্কাইভে
হয়তো সেই নামগুলি রয়ে গেছে যেটা আর কেউ খোলে না (শুধু আর্কাইভগুলোই
তরুণ থেকে যায়)। বাচিক প্রথার মৃত্যু হয়েছে এবং তার সাথে সাথে স্মৃতিরও মৃত্যু
হয়েছে। জিপসি লোকেরা হয়তো সেসব মনে রেখেছে কিন্তু যারা লিখতে জানতো
তারা ভুলে গেছে। লিখে রাখো, এবং ভুলে যাও।

ছোট এই গোলাবাড়িটাতে মানুষের গুঞ্জন, এবং এটাই পৃথিবীর কেন্দ্র। কিন্তু এর
বাসিন্দারা সব মরে গেছে বা কোথাও চলে গেছে, আর দিনপঞ্জীটাও থেমে গেছে।
বহুকাল এটা জনমানবহীন পড়ে আছে। এবং এই ভিটেটা একটা স্ফিংক্সে পরিণত
হয়েছে। শেষমেশ ভিত্তিপ্রস্তরগুলো ছাড়া আর সবকিছুই হারিয়ে গেছে।

কোনো না কোনোভাবে আমি আগে এখানে ছিলাম, কিন্তু এখন আমাকে ফিরতে
হবে। আমি ঝোপঝাড়ের মধ্যে ঝাঁপ দিলাম। সামনে এক পা আর পাশে দুই পা
ফেলেই শুধু এখান থেকে ঠেলে রাস্তা বের করা সম্ভব, একটা দাবার ঘোড়ার মতো।
শেষমেশ অরণ্যটা পাতলা হয়ে এলো আর উজ্জ্বল হয়ে উঠল। আমার পদক্ষেপ
দীর্ঘ হতে লাগল। হামা দিয়ে একটা রাস্তা আমার দিকে এগিয়ে এলো। আমি
কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কে ফিরে এলাম।

গুঞ্জরিত বৈদ্যুতিক পোলের ওপর সূর্যের আলোয় একটা কাচপোকা বসে আছে।
উজ্জ্বল বর্মগুলির নিচে তার ওড়বার ডানাগুলি দক্ষহাতে প্যারাসুট গুটিয়ে রাখার
মতো করে নিপুণভাবে ভাঁজ করে রাখা আছে।

………….
বাচিক প্রথা: oral tradition.

[Robin Fulton অনূদিত The Clearing থেকে।]

 

পথের রহস্য

দিনের আলো ঘুমন্ত লোকটির মুখে ধাক্কা দিল।
সে খুব জীবন্ত একটা স্বপ্ন দেখছিল
কিন্তু সে জাগল না।

সূর্যের তীব্র অস্থির আলোর নিচে অন্যদের মধ্যে
ঘুরে বেড়ানো লোকটির মুখে
অন্ধকার ধাক্কা দিল।

প্রবল বর্ষণের মতো হঠাৎ অন্ধকার নেমে এলো,
আমি একটা ঘরের ভেতরে দাঁড়িয়েছিলাম যেটা
প্রত্যেকটি মুহূর্তকে ধারণ করছিল─
একটা প্রজাপতি মিউজিয়াম।

আর সূর্যটা ছিল আগের মতোই তীব্র।
তার অস্থির তুলিগুলো জগৎটাকে রাঙিয়ে যাচ্ছিল।

…………..
[Robin Fulton অনূদিত Secrets on the Way থেকে।]

 

সাংহাইয়ের পথঘাট


বহু মানুষই পার্কের শাদা প্রজাপতিটাকে লক্ষ করছিল।
ওই বাঁধাকপি-শাদাটাকে আমি ভালবাসি যেন সেটা খোদ সত্যের
ডানা ঝাপটানো একটা প্রান্ত!

প্রত্যুষে চলমান জনতা আমাদের শান্ত গ্রহটাকে গতিশীল করে তোলে।
তারপর পার্কটা জনতায় ভরে ওঠে। তাদের প্রত্যেকেরই জেডের মতো
পালিশ করা আটটি মুখাবয়ব, যেকোনো পরিস্থিতির জন্যে, ভুলত্রুটি
থেকে দূরে থাকার জন্যে।
তাদের সবার একটা অদৃশ্য মুখাবয়বও ছিল যেটায় প্রতিবিম্বিত হচ্ছিল:
“কিছু বিষয়ে তুমি কখনও মুখ খুলবে না।”
এমন একটা কিছু যা কিনা ক্লান্ত মুহূর্তগুলোতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং যা
দীর্ঘ আঁশটে রেশসহ এক ঢোঁক সর্পব্র্যান্ডির মতোই তিক্ত।

জলাশয়ের মাছগুলো নিরন্তর চলমান, ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও তারা সাঁতরে চলে,
বিশ্বাসীদের জন্যে তারা একটা রোল মডেল: সর্বদাই গতিশীল।


এখন দুপুর। সাইক্লিস্টদের বহু উপরে ধূসর সামুদ্রিক হাওয়ায়
ধোয়া কাপড়চোপড়গুলো উড়ছিল, যে সাইক্লিস্টরা এসে পৌঁছেছে
ঘন বিদ্যাপীঠে। উভয় দিকের গোলকধাঁধাটা লক্ষ করো!

আমার চারপাশে লিখিত সব অক্ষর যেগুলোর আমি কোনো অর্থ করতে
পারি না, আমি একেবারেই নিরক্ষর।
কিন্তু আমি আমার দেনাপাওনা সব মিটিয়ে দিয়েছি আর আমার কাছে
সবকিছুরই রিসিট রয়েছে। বহু অবোধ্য রিসিট আমি জড়ো করেছি।
আমি হলাম শুকনো পাতাঅলা পুরোনো একটি বৃক্ষ যার পাতাগুলো সব
ঝুলে আছে কিন্তু মাটিতে খসে পড়ছে না।

আর সাগরের দমকা হাওয়ায় এই রিসিটগুলো মর্মর তুলছে।


প্রত্যুষে হেঁটে চলা মানুষের দঙ্গল আমাদের শান্ত গ্রহটাকে গতিশীল করে তোলে।
আমরা সবাই রাস্তায় উঠে এসেছি, আর এটা একটা ফেরির পাটাতনের মতোই
জনাকীর্ণ।
আমরা যাচ্ছিটা কোথায়? সেখানে যথেষ্ট চায়ের কাপ আছে তো? সময়মতো
এই রাস্তায় উঠতে পারার জন্যে আমাদের নিজেদের ভাগ্যবান ভাবা উচিত!
এটা ক্লোস্ট্রোফোবিয়া জন্মের এক হাজার বছর আগেকার কথা।

আমরা যারা এখানে হেঁটে চলেছি তাদের প্রত্যেকেরই পেছন পেছন উড়ে আসছে
একটি ক্রুশ, যেটা আমাদের নাগাল পেতে চাইছে, আমাদেরকে অতিক্রম
করতে চাইছে, আমাদের সঙ্গে একজোট হতে চাইছে।
কিছু একটা আমাদের পেছন থেকে চুপিচুপি এসে আমাদের চমকে দিতে চাইছে,
আমাদের চোখের উপর তার হাত রেখে ফিসফিস করে বলছে, “বলোতো কে!”

রোদ্দুরে আমাদেরকে মোটামুটি সুখীই দেখাচ্ছে, যখন আমাদের ক্ষতগুলো
থেকে মারাত্মক রক্ত ঝরে চলেছে যা আমরা জানিই না।

………………….

বাঁধাকপি-শাদা: cabbage butterfly; জেড: Jade; উজ্জ্বল সবুজ রঙের পাথরবিশেষ। রূপচর্চায়, বিশেষ করে মুখের ক্লান্তির ছাপ কমাতে বিশেষ কার্যকর। সর্পব্র্যান্ডি: adder brandy. রিসিট: receipt; রসিদ। ক্লোস্ট্রোফোবিয়া: claustrophobia; আবদ্ধতাভীতি।

[Patty Crane অনূদিত Streets in Shanghai থেকে।]

 

আবহচিত্র

মরীচিকা-পাখনাময় অক্টোবরের সাগর
শীতলভাবে ঝলমল করছিল।

ইয়ট রেসের শ্বেতঘূর্ণনকে মনে রেখেছে
সেরকম কিছুই আর সেখানে অবশিষ্ট ছিল না।

গ্রামটির উপর অ্যাম্বারের একটা আভা।
আর সমস্ত ধ্বনিই ছিল ধীর উড়ালময়।

কুকুরের ঘেউ-ঘেউটা ছিল বাগানের উপরকার
হাওয়ায় অঙ্কিত একটা চিত্রলিপি।

যেখানে হলুদ ফলটা গাছকে ফাঁকি দিয়ে
একা একাই খসে পড়ছিল।

…………..
চিত্রলিপি: hieroglyph. অ্যাম্বার: amber; এক ধরনের স্বচ্ছ হলুদাভ বাদামি পাথর, বা এই পাথরের রং।

[Robin Fulton অনূদিত Weather Picture থেকে।]

 

দম্পতি

তারা আলোটা নিভিয়ে দিল, আর আলোর শাদা গোলকটা এক
গেলাস অন্ধকারের ভেতর একটা ট্যাবলেটের মতো মুহূর্তের একটা
ক্ষীণালোক ছড়িয়ে মিলিয়ে গেল। তারপর একটা উত্থান। হোটেলের
দেয়ালগুলো তীরবেগে স্বর্গের অন্ধকারে উঠে গেল।

তাদের আলোড়নটা থিতিয়ে এলো, এবং তারা ঘুমিয়ে পড়ল, কিন্তু
তাদের গোপনতম চিন্তাগুলো মিলিত হতে লাগল যেমন কোনো
স্কুলবালকের আঁকা ছবির ভেজা কাগজের ওপর দুটো রঙ মিলিত
হয়ে পরস্পরের ভেতর প্রবাহিত হতে থাকে।

চারদিকে অন্ধকার আর নৈঃশব্দ্য। কিন্তু শহরটা আজ রাতে খুব কাছে
এগিয়ে এসেছে। তাদের নেভানো জানালাসহ। বাড়িগুলিও এসেছে।
খুব কাছেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে, ভাবলেশহীন মুখের
একদল জনতা।

………….
[Robert Bly অনূদিত The Couple থেকে।]

 

অরণ্যে


হেমন্তের গোলকধাঁধা।
অরণ্যের প্রবেশমুখে পরিত্যক্ত একটা খালি বোতল।
ভেতরে ঢোকো। বছরের এই সময়টাতে অরণ্যটা শুনসান,
পরিত্যক্ত একটা প্রাঙ্গণ।
শুধু সামান্য কয়েক ধরনের শব্দ: যেন কেউ টুইজার দিয়ে আলগোছে
কিছু ডালপালা ছেটে নিচ্ছে,
বা মোটা কোনো গুঁড়ির ভেতরকার কোনো কব্জার ক্ষীণ ক্যাঁচকোঁচ।
হিমতুষার নিঃশ্বাস ফেলেছে মাশরুমের ওপর এবং তারা কুঁকড়ে গেছে।
সেগুলো দেখতে হারিয়ে যাওয়া লোকেদের জিনিসপত্র বা
কাপড়চোপড়ের মতো।
সন্ধ্যা হয়ে এলো। এবার বেরিয়ে যেতে হবে এবং আবার কোনো
ল্যান্ডমার্কের দেখা পেতে হবে: মাঠের ভেতর পড়ে থাকা
জংধরা কোনো যন্ত্রপাতি
বা হ্রদের ওইপারে কোনো বাড়ি, মেরুনরঙা একটা স্কয়ার,
বুইয়ান কিউবের মতো শক্তপোক্ত।

……………..
টুইজার: tweezers; সন্না; কর্তন যন্ত্র। বুইয়ান কিউব: bouillon cube; প্রক্রিয়াজাত একটি খাদ্য; যে কিউব থেকে bouillon বা সুপ তৈরি করা হয়। স্কয়ার: square; চতুভুর্জাকার কোনো বস্তু বা বাড়ি।


আমেরিকা থেকে আসা একটা চিঠি আমাকে ক্ষিপ্ত করে তুলল।
জুনের এক উজ্জ্বল রাতে সেটা আমাকে শহরতলীর নীলনকশার
মতো শান্ত, স্মৃতিহীন, নবজাত ঘরবাড়িগুলোর ভেতরকার নির্জন
রাস্তায় তাড়িয়ে নিয়ে এলো।

চিঠিটা আমার পকেটে। অস্থির উন্মত্ত একটা হাঁটাহাঁটি, আর সেটা হলো
এক ধরনের প্রার্থনা।

তোমার কাছে ভালো এবং মন্দের সত্যিকারের একটা চেহারা রয়েছে।
আমাদের কাছে সেটা মূলত শেকড়, সংখ্যা আর দিনানুদিনের
একটা লড়াই।

যারা মৃত্যুর বার্তা নিয়ে ছুটোছুটি করে তারা দিনের আলোকে ভয় পায় না।
তারা কাচের ভবনগুলোতে বসে বসে ছড়ি ঘোরায়, তারা প্রখর
রৌদ্রালোকে জটলা করে। তারা গোলটেবিলের ওপর ঝুঁকে প’ড়ে
মাথা নাড়ে।

আমি বহুদূরের নতুন অট্টালিকাগুলোর একটির সামনে এসে দাঁড়াই।
বহু জানালা এসে মিশেছে একটি জানালায়।
যেখানে ভাসমান বৃক্ষচূড়াসহ রাত্রির আকাশের আলোটা আটকে আছে।
এটা হলো গ্রীষ্মরাত্রির ভেতরে খাড়াভাবে উঠে যাওয়া তরঙ্গহীন একটা
আয়নাহ্রদ।

মুহূর্তের জন্যে সহিংসতা
অবাস্তব বলে মনে হলো।


সূর্যটা জ্বলছিল। মাটির ওপর দিয়ে বিপুলবেগে ধাবমান
একটা বিশাল ক্রুশাকৃতির ছায়া ছুঁড়তে ছুঁড়তে প্লেনটা বেশ
নিচু দিয়ে উড়ে এলো।
একটা লোক ক্ষেতে বসে কিছু একটা রোপণ করছিল।
ছায়াটা এলো।
মুহূর্তের জন্যে লোকটা তখন ক্রুশটার ঠিক মধ্যিখানে ।

শীতল গির্জার খিলানের নিচে আমি ক্রুশ ঝুলতে দেখেছি।
মাঝে মাঝে এটা ভয়ানক গতিশীল কোনো কিছুর একটা
স্থিরচিত্রের মতো।

……………..
[May Swinson অনূদিত In the Clear থেকে।]

 

নান্নু মাহবুব

জন্ম: ১১ জুন, ১৯৬৪, যশোর। লেখালেখির শুরু ৮০’র দশকে।

প্রথম কাব্যগ্রন্থ: রাত্রিকালীন ডাকঘর (প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫)
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ: পুনরুত্থিত শহর (প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০০৫)
তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ: আজ কী ফুল ফুটিয়েছো, অরণ্য? (প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০১৩)

প্রতিভাস, কোলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ইউ জী কৃষ্ণমূর্তির
সাক্ষাৎকারভিত্তিক ৪টি অনূদিত গ্রন্থ:মাইন্ড ইজ আ মিথ, নো ওয়ে আউট, থট ইজ
ইয়োর এনিমি, ও মিস্টিক অব এনলাইটেনমেন্ট।
Facebook Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top