ফেরদৌস নাহারের বাজে অন্তহীন দ্রিমি থেকে একগুচ্ছ কবিতা

[কবি ফেরদৌস নাহার যেন এক আজন্ম অভিযাত্রী। সব সময়ই  তিনি থাকেন শারীরিক  অথবা মানস ভ্রমণে। তার  প্রতিটি কবিতাও যেন এক একটি ভ্রমণের উপাখ্যান।  তিনি অবলীলায় বলেন,  “সুউচ্চো পাহাড় হইতে আরও উঁচুতে উড়িবার পাখা খুঁজিতে বাহির হইয়াছি, দিগন্তের নামে”। অথবা, ‘আমি সেই কলমবাজ বোহিমিয়ান/ বাতাস এখনও ডেকে বলে— যাবে নাকি আরও দূরে উড়িয়ে সর্বনাশ”!

সুদূর ক্যানাডায় বসবাস করেও যখন তিনি হ্যালুইনের সময় মানস ভ্রমণে ঘুরে যান বাংলাদেশে। বলেন,  ‘জানি, বাড়ি গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে আমার দেশে হ্যালোইন নাই”। শুধু দেশ-বিদেশ নয়, তিনি চলে যান  নক্ষত্রমণ্ডলে। সেখানে দেখেন, “গভীর তারায় ভরা আকাশের ভাঁজে মিশে যাচ্ছে যৌবনের তাপ-বৃষ্টি, ক্ষুধা ও সম্ভার “। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল গিয়ে দেখেন “দূরবীণ ঝাপসা হয়ে ওঠে/ কিছুতেই দেখা যাচ্ছে না কিছু,/ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল প্রহর”। সিন্ধু-সভ্যতার পাড়েও চলে যান তিনি। দেখেন, “প্রেমের আগেই যেখানে সূর্য পৌঁছে যায় আগুন লাগাতে”। বোরিনেজ কোল-মাইনে গিয়ে অনুসন্ধান করেন কেন কয়লা শ্রমিকেরা বাঁচেনা বেশীদিন! এমন কি হুইল চেয়ারে শহর দর্শন কিংবা অসমাপ্ত ডুডল ডানায় ভর করেও বেরিয়ে পড়েন তিনি অন্তরীক্ষে।

সম্প্রতি কবি রফিক আজাদ স্মৃতি পুরস্কার বিজয়ী  কবি ফেরদৌস নাহারের ‘বাজে অন্তহীন দ্রিমি’  কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ২০২২ ফেব্রুয়ারী বই মেলায়। তিনি সাহিত্য কাফের সম্পাদক মণ্ডলীর একজন সদস্য। সাহিত্য ক্যাফে তাঁর এই কাব্যগ্রন্থ থেকে একগুচ্ছ কবিতা ছেপে অভিনন্দন জানাচ্ছে বোহেমিয়ান এই কবিকে। কাব্যগ্রন্থটি একটা  বিশাল ক্যনভাসে আঁকা জীবন ভ্রমণের এক অপূর্ব  চিত্রকলা! — সম্পাদক, সাহিত্য ক্যফে]

 

ফেরদৌস নাহার

চাই না থাকিতে কোনো দান-প্রতিদানে
তাই, উৎসর্গ হইয়াছি স্বয়ম্ভু মন্ত্রে
সুউচ্চো পাহাড় হইতে আরও উঁচুতে উড়িবার
পাখা খুঁজিতে বাহির হইয়াছি, দিগন্তের নামে
হাওয়ার প্রতিধ্বনি কুড়াইয়া আনিতেছি
একে একে জমা করিতেছি সব, তারপর
ক্লিফের উপর নাচিতেছি
থামিতেছি, নাচিতেছি ক্লিফের উপর

 

টোয়াইলাইট ঘুম

কবিতা গদ্য দূরবাস, আমি সেই কলমবাজ
বোহিমিয়ান বাতাস এখনও ডেকে বলে—
যাবে নাকি আরও দূরে উড়িয়ে সর্বনাশ!

এই টোয়াইলাইট ঘুম ফুরলে বেরিয়ে যাব জাদুকর হয়ে
পিছুটানের মহড়া অনেক তো হলো। এবার ক্ষান্ত দাও
আমাদের যোগাযোগ সমুদয় যোগসূত্র ভুলে, দেখা দিক
পশ্চিম আকাশের কোনো ধ্রুবতারা হয়ে। মনে পড়ে
ঘুম ভুলে জেগে থাকা, অথবা আলোর অন্বেষণ ভেবে
মাঝরাতে জানালার পর্দা তুলে আগ্রহে উঁকি দিয়ে দেখা
বেসামাল ছায়ামাখা জ্যোৎস্নায় যখন ডুবে যাচ্ছে পৃথিবী

এই ঘুম আমার অন্তহীন কামনার মাঝে ভায়োলিন
খুঁজে বেড়ায় সর্বনাশের নতুন পোর্ট্রেট, অদেখা তীব্রতায়
জেগে থাকে অনন্তকালের ধনুক-ভাঙা পণ গোধূলি বেলায়

 

মেলানকলি সন্ধ্যা

আজ যার জন্মদিন, আগামীকাল সে
এঁকে দিয়ে বিমূর্ত নকশা
হেঁটে যাবে পাহাড়ের ওপাশে
বাঁধহীন নিঃশর্ত শর্তে

আস্তে আস্তে উড়ে যাচ্ছে আকাশ
ঘুরে যাচ্ছে পথ
ধীরে ধীরে গহন অন্ধকারে
ঢেকে যাচ্ছে ধুলোর পোশাক

এই তো চিনে নেবার মোক্ষম সময়
মনে রাখার মাধবীক্ষণ
আইসফ্রস্ট মেলানকলি সন্ধ্যা
দীর্ঘশ্বাসে বোতাম লাগিয়ে বলছে, পরো!

বুকের মধ্যে ডানা গজাচ্ছে
অন্ধকার নামছে
জন্ম সার্থক করতে সে কেমন একটানা
নেচে যাচ্ছে সমুদ্রের ঢেউয়ে…

 

আমার দেশে হ্যালোইন নাই

অতঃপর আমার অসুখ হলো, দিনরাত হ্যালোইনের চরিত্র
দেখতে দেখতে কখনও ঘুমাই, কখনও জেগে থাকি
অবশেষে আমার রাত দিন পালটে গিয়ে সে এক অদ্ভুত
টাইম টেবিলে এসে দাঁড়াল। নিদ্রা ব্যাঘাত-জনিত
ঘটনাসমূহ ক্রমান্বয়ে ঘুরতে থাকে। অপেক্ষা করি-
কবে বাড়ি যাব, কবে সময় মিলিয়ে ঘুমাব জাগব

তারপর কত বছর উড়ে উড়ে ক্লান্ত ডানায় আঁকিবুকি
কাটতে কাটতে তোমাকে পাঠালাম একটা সাধারণ চিঠি
ভেবেছিলাম পৌঁছবে না। কিন্তু ঠিক ঠিকই পৌঁছে গেল
হ্যালোইনের চরিত্রগুলো সারারাত জেগে পিছনে পিছনে
দৌড়ায়। জানি, বাড়ি গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে
আমার দেশে হ্যালোইন নাই

 

ইয়েহোদি মেনুইনের বেহালা

নিশ্বাস গাঢ় হয়ে আসে
নামে অন্ধ রাতের করাত
যা যা নাম ছিল সব মুছে যাক
হয়েছে সময়, বন্ধ দুয়ার খুলে
যৌবনের অসংযত নামতা বলার
ঘোর ঘোর আলোর বিরাজ

খুব কাছে যাও, ভালোবাসো
উজান স্রোতের দিকে ঠেলে দাও
বাদবাকি সময়ের কসমস গাথা
লেখা হবে প্রলয়ের নীল বইয়ে
প্রণয়ের নাম ধরে ডাকা

এই কফিশপ, এই বিষণ্ন মুগ্ধতা
ইয়েহোদি মেনুইন বেহালায় তুলছেন
বিটোফেন মোজার্ট। গভীর তারায় ভরা
আকাশের ভাঁজে ভাঁজে মিশে যাচ্ছে
যৌবনের তাপ-বৃষ্টি, ক্ষুধা ও সম্ভার

 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল প্রহর

প্রতিদিন এক একটি নতুন গল্প। প্রতিদিন মন উচাটন
পুকুরের জলতলে যে ভ্রমর কৌটোতে ঘুমিয়ে থাকে
তার একটি নাম রাখা হোক
চেনাজানা চেহারার নতুন মুখোশ কিনে রেখে দেই
সময় করে পরে নেব। তখন খুব সুন্দর দেখাবে জানি
আচ্ছন্ন রক্তে স্বপ্নযান এঁকেবেঁকে চলে, দুফোঁটা শিশির
জানালায় অপেক্ষায় থাকতে থাকতে শুকিয়ে গেছে

প্রতিদিন নতুন গল্প—নাবিক জাহাজে পাল তুলে দিয়ে
ভ্রমর-কৌটোর সন্ধানে চলে যায় দূরদেশে
বাইরে ভীষণ কুয়াশা, দূরবীণ ঝাপসা হয়ে ওঠে
কিছুতেই দেখা যাচ্ছে না কিছু, সংযোগ বিচ্ছিন্ন
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল প্রহর

 

সিন্ধু-সভ্যতার পাড়ে

বাড়িতে ছিল না সে, উঠোনে ছিল ঘন তারকাঁটা বন
মানুষ অমর হলে মরণের কিবা প্রয়োজন

আগুনের ফানুস উড়ানো শুভরাত্রি
ঘন হয়ে নেমে আসে উঠোনের একপাশে
মনে পড়ে ভীষণ দূরত্ব দূর অভিযাত্রী

নদীদের সাথে ভাসে নদী, যদিও জীবন থেকে উপহার
মেলে কী মেলে না, তবু জীবন উপহারকামী

বারবার মনে পড়ে যায়, আচমকা সুদূরে তাকাই
ওখানে দাঁড়িয়ে আছে অবুঝ নিশ্বাসে
কোনো এক রাতজাগা তীব্রগন্ধা পাখি

তাহাদের বাড়ি আজও সিন্ধু-সভ্যতার পাড়ে
প্রেমের আগেই যেখানে সূর্য পৌঁছে যায় আগুন লাগাতে

 

পোড়া বারুদের গন্ধ

কোনো দিন যদি কারও
মন খারাপের বনে ঢুকে যাই
সেখানে দীর্ঘ বৃক্ষের নিচে
একটি নির্লোভ স্টেশন
চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে
ভুল হয়েছিল বুঝতে
তাহলে বলো, চলে যাই

যাব নাকি ভাবতে ভাবতে
হরিয়ালের ডাক
উত্তরবঙ্গের স্টেশন ঘুরে আসে
বাকি দিনগুলো পড়ে থাক
বন, শনশন শব্দে মনের খবর বলে
বারুদ পোড়াবার আগে
বলে যাওয়া, চলে যাওয়া বনের উড়ন্ত পাখায়
সাত জনমের কথা ছবি আঁকে ঝুঁকে ঝুঁকে
পোড়া বারুদের গন্ধ লাগে নাকে

 

জিগোলোর দোহাই

এভাবে বোলো না, জিগোলোর দোহাই
ঘরের আড়ালে যে পণ্ডশ্রম সময়
রেলগাড়ি রেলগাড়ি খেলা দেখাল
তার হুইসিল মাঝরাত চমকে দেয়
বাজারের ফর্দ ভুলে টানপায়ে ছুটে যাওয়া
বিষাক্ত উদ্যানে স্বর্গীয় খেলাধুলা। তারপর
অনেকগুলো রাত অতিক্রমের পর
যে যার পোশাক পরে দুদিকে রওয়ানা হলে
পিছুডাক ডাক ভুলে যায়

তাহলে ভুলটা কোথায় হলো
কোথায় পরস্পর গোপন উন্মোচন
আড়ালের ভালোবাসা-বাসি
তিমিরে পেরেক ঠুকে ঝুলিয়ে দিয়েছি শেষ
পূর্বাচল আলো, অনেক হয়েছে মেরামত
জ্বলুক জীবনের অন্ধঘরে ক্ষুধার্ত রাত
জ্বালিয়ে দেবার মতো যা ইচ্ছে তাই
এভাবে বোলো না
একজন জিগোলোর দোহাই

 

বোরিনেজ কোল-মাইন থেকে

খনিতে কাজ করা শ্রমিকেরা বেশিদিন বাঁচে না
বেশিদিন বাঁচবে না বলেই ওরা সুরঙ্গে ঢুকে গেছে
পাথুরে কয়লার কালো ছোপ নাকে, মুখে, গালে
নিশ্বাসে কাশি আর রক্তাক্ত দু’চোখ, নিস্প্রভ অতল

খনিতে কাজ করা শ্রমিকেরা বেশিদিন বাঁচে না বলে
চলে যায় গহন পাতাল তলে, হাতুড়ির অভিঘাতে
ঠুক ঠুক শব্দ তোলে। কেটে যায় দিন, মাস, বছর
সোনার সন্ধানে কয়লা খনির দেহ ভেঙে দিতে হয়
শ্রমিকের কাশির দামে বাজারের দর ওঠা নামা করে
কষ্ট ক্ষয়ের ফলাফল শূন্যের কোটায় ঝুলে থাকে
সেসব আঁকবে বলে একজন ঘুরছেন পেন্সিল হাতে

বেলজিয়ামের বোরিনেজ কোল-মাইন থেকে
সংবাদ ভেসে আসে, নিজস্ব বাইবেল আঁকছেন
একজন পাদ্রি ও চিত্রকর ভিনসেন্ট ভ্যান গঘ নামে

 

মাত্রোশকার মিলিত কোরাস

কতদিন পর মাঝরাতে বাড়ি ফিরছি
তোমার বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে যেতে
গানের অন্তরা ভুলে যাওয়া দিনগুলো মুখ টিপে হাসে
হিম এসে লাগে

গ্রীষ্মকাম হুল্লোর, রাতের মৃদু বাতাস নাম ধরে
ডেকে ডেকে তাসখন্দের বিস্তৃত পথে অপেক্ষমাণ
বনিতার বেড়াল ছুঁয়ে ছিল
কালো গাড়ির খদ্দের আজও অন্ধকারে বেড়াল-নারীকে
তুলে নিয়ে যায়
দোকানে দোকানে সাজানো মাত্রোশকার মিলিত কোরাস
সেদিনও গান ধরেছিল-
ধায় গোপন, ধায় অবশিষ্ট আকাশের শোক

খুব কি দুঃখের গান ছিল সেসব!

 

নীল বাড়ি, তেহুয়ানা আকাশ

একটা অসমাপ্ত গল্পের ছবি এঁকে যাচ্ছ ভোরের ডাকবাক্সে
জমা হচ্ছে অনির্দিষ্ট দীর্ঘশ্বাস। গোপনে উধাও বেভুল আকাশ
হিম নির্জনতা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে
তুমি মুখর শহরের আগন্তুক, অরণ্যভেদী জেদ ও প্রেমে
দাঁড়িয়েছ তুলি হাতে। ব্যানারে ঝুলিয়েছ সমস্ত আঘাত
বাস দুর্ঘটনার, হুইলচেয়ার, টুকরো টুকরো মেরুদণ্ড
দগ্ধ জরায়ু, গর্ভপাত! লাল রং আলিঙ্গনে
ভেসে যাচ্ছে হেনরি ফোর্ড হাসপাতালের রক্তাক্ত খাট

লা কাসা-আযুল থেকে খেয়ালি জাদুর ছবিগুলো এসে দাঁড়ায়
হয়তো কারও অনুরোধে মৃত্যু জমাও। প্রতিটি মৃত্যুর পর
ঘটনাগুলো গান গায়, জড়িয়ে থাকে। সবকিছু মুদ্রা হয়ে
বেজে ওঠে দুই হাতে, নীল বাড়ির নীলে নিদ্রা মিশিয়ে
ডাক দেয় প্রস্থান আয়োজন

আজ সারাদিন হেঁটেছ তুমি অন্টারিও লেকের সাথে
তেহুয়ানা রঙিন পোশাকে উড়িয়েছ আদিম পৃথিবী
নীলজল-শব্দে জোরা ভ্রূ কাঁপছে তোমার

দিয়েগো চমকে ওঠে ফ্রিদা নেই পাশে!

 

ডুডল ডানায়

হুইলচেয়ারে জীবন শুরু করেছিলাম, খুব কষ্ট হতো
দিনের আলো ফুটে উঠতেই হুইলচেয়ার বেরিয়ে পড়ত
শহরময় ঘুরে ঘুরে একটি নির্জন স্টেশনে এসে থামত
চুপচাপ ট্রেনের চলে যাওয়া দেখত
খুব কষ্ট হতো, একদম কথা শুনত না
মগ্ন হার্পুনে গাঁথা দীর্ঘশ্বাস ফেলাই একমাত্র কাজ হলো

দেখতে দেখতে একদিন ভয়, হাসি, আতঙ্কের
সম্মিলিত সমাহারে আকাশ ফাটা চিৎকারে
চোখ থেকে জল ঝরাতে ঝরাতে নিজেই
ট্রেনের পিছনে ছুটতে শুরু করল, বলল-
ভাড়াটে খুনি এখন পিছু নিয়েছে, পালাতে হবে
ধরে রাখতে চেষ্টা করি, তার সাথে কি পারি

আকাশের দিকে তাকাও, দেখো
সে কেমন উড়ে যাচ্ছে অসমাপ্ত ডুডল ডানায়

 

ফেরদৌস নাহার

ফেরদৌস নাহারের জন্ম, বেড়ে ওঠা সবই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে। নেশা, দেশ-দেশান্তরে ঘুরে বেড়ানো ও বইপড়া।

ফেরদৌস নাহার বাংলা ভাষার একজন শক্তিমান কবি, প্রাবন্ধিক ও সংগীত রচয়িতা। এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা: ১৫টি কবিতা ও ৩টি প্রবন্ধের বই। তাঁর কবিতার  ইংরেজি অনুবাদে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে একটি ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে অসংখ্য যৌথ কবিতা সংকলন। বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দল ‘মাইলস’-এর অনেকগুলো জনপ্রিয় গানের রচয়িতা তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও কানাডা থেকে কম্পিউটার ট্রেনিং প্রোগ্রাম কোর্স করেছেন তিনি। কবিতার পাশাপাশি ছবি আঁকেন, গান লেখেন, ব্লগিং করেন, কফিশপে ধোঁয়া আর ঘ্রাণে আড্ডার ঝড় তোলেন। কিন্তু সবকিছুর উপরে এক বিশ্ব বোহেময়ান কবি আর চির তারুণ্যের নাম ফেরদৌস নাহার। মন চাইলে বেরিয়ে যান। ঘুরে বেড়ান খেয়াল-খুশি মতো, যাকে তিনি ‘ঘুরণ’ বলেন। ভালোবাসেন প্রকৃতি ও মানুষ। পথের নেশা তাকে করেছে ঘরছাড়া, ঘুরতে ঘুরতে এখন আটলান্টিক মহাসাগরের পাড়ে, কানাডায়। সেখানে জীবন যাপনের পাশাপাশি জীবন উৎযাপন করেন কবিতা এবং লেখালিখির খরস্রোতা নদীতে বৈঠা বেয়ে। ইমেইল : [email protected]

Facebook Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top