মাহমুদ কামালের তিনটি কবিতা
জনসমুদ্র এবং সাগরের ধ্বনি জনসমুদ্র আর সাগরের ঢেউ কখনো সংক্ষুব্ধ কখনো বিক্ষুদ্ব সাগরের উত্তাল ধ্বনি জনসমুদ্রের ধ্বনিসাম্যের কাছে কখনো নত কিংবা কখনো পরিণত সাগরের একবিন্দু জল বেদনার নোনার সাথে অশ্রু …
জনসমুদ্র এবং সাগরের ধ্বনি জনসমুদ্র আর সাগরের ঢেউ কখনো সংক্ষুব্ধ কখনো বিক্ষুদ্ব সাগরের উত্তাল ধ্বনি জনসমুদ্রের ধ্বনিসাম্যের কাছে কখনো নত কিংবা কখনো পরিণত সাগরের একবিন্দু জল বেদনার নোনার সাথে অশ্রু …
ঘুম ব্যর্থতার পদচিহ্ন ম্লান করে সবুজ পাতার ঝলকানির মতো আমাদেরই কারও কারও স্বপ্ন মাটিতে পড়ে ফুল হয়ে গজায় যদিও ওরা ফুলের গাছে নয়। সূর্যাস্তের স্নিগ্ধ উষ্ণায়নে, আবাল-বৃদ্ধ দু:খ-সুখের শব্দ উচ্চারণে, …
শামুক বাড়ি শামুরবাড়িতে বো-কাট্টা ঘুড়ির মতো চক্কর খায় মেঘ, কেনো তরুণী মেঘের দোপাট্টা খুলে গিয়ে আটকে যায় দূরান্তে গ্রামের নিশানা উঁচুমাথা গাছের চূড়োয়; বৃষ্টি হয় বিধবার একপলক স্বামীশোকের মতো। এই …
বাতাস লিখে ফেলে সুগন্ধি কবিতা অন্ধকারে ধুয়ে নিয়ে হাত বাতাস লিখে ফেলে নতুন সুগন্ধি কবিতা কেউ দেখার আগেই তা প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে আসে আলোর কৃষক শহরের লোকেরা কৃষিজমি …
হারিয়ে ফেলা তুই কবে বড় হবি? কবে হবি সাবালক? ধরবি সংসারের হাল? বড় হবার বয়সতো পার হয়ে যায়! তোর ভেতর ঘরে কার বসবাস? কে তোর লাগাম টেনে ধরে? বেঁধে রাখে …
শরৎ সরোবরে হাসছে কুমুদ কহ্লার আকাশে শাদা মেঘ ধনধান্যে গন্ধে মাতাল চারদিকে নববেশ ভেতর বাইরে স্নিগ্ধ ছায়া আনন্দ উদ্বেল জলবতী মেঘ খেলেছিল খেলা সাঙ্গ হয়েছে রেশ এবার আমার বিদায় লগ্ন …
ভাষা তোমাকে সাফ বলে রাখি সুচেতনা ভাষার ওপর কোনোরকম দুর্বৃত্তপনা বরদাস্ত করব না। সে নহে সাদাকে কালো, কালোকে সাদা করার বিজ্ঞাপনী প্রতারণা! সে আমার হাসি-কান্না, রক্তের দ্যোতনা মরুর বুকে বসন্তের …
মমি পুরাণ মৃত সম্পর্কের মমি থেকে সুগন্ধি পাবে অমন লোবান জ্বালায় কে নিষ্প্রাণে ধুপ ধুনো পোড়াবার আর থাকে কে মানুষ তো জীবনের কাছে প্রাণবান জল জোয়ারের ঢেউটুকুই শুধু চায় প্রাপ্তির …
দৃশ্যকল্পের অভিপ্রায় কফিখানার সাবুজিক আঙিনাতে আসতেই আমার করোটিতে নানাবিধ চিত্রের কাকতালীয়ভাবে হয় প্রাদুর্ভাব, ফতেপুর সিক্রির প্রসিদ্ধ প্রান্তরে পাতা হয় দাবার ছক— শরীরের সুদর্শন মুদ্রায় হাঁটাচলা করে কত্থকনৃত্যের কালোয়াতি চোলি পরা …
১ এইসব ধূলির নথিপত্রে ঘৃণার পোস্টার, সিক্রেট মুখপঞ্জি, ঘুমখচিত রাত্রির প্রলোভন, আমাকে টেনে নিয়ে যায় দূরে, তোমার ঘুমঘরে, নিদ্রাহীন পাখিদের ফুলশয্যায়- এখানে নিস্তব্ধতা, জলসিড়ি, ডানায় মানুষের রক্তবীজ, পাখিদের নাশতার টেবিলে …
অ-কবিতা অ-কবিতা কাকে বলে কোকিলা? ঐ বেলকনি থেকে অসময়ে দেয় যে দোলা না, অতি-বিপ্লবীর স্বপ্নভঙ্গে নির্জন বাড়ির বুকে নামে যে নিস্তব্ধতা না,নিছক তোমার প্রেমে আমার ব্যর্থতা! সে যদি সন্ধ্যার কমলা …
কবির আনন্দ যেখানে কথার শুরু, সেখানেই তুমি নিয়ে আসো সুদূর নীলিমা — আমারই আদিম প্রদেশে। তোমার আকারে কথার আকার —ভাষালগ্ন কবির হৃদয় আকারেই অর্থের সীমানা, অন্তরালে তুমি, অন্তরালে অর্থঢেউ,দৃশ্যমান তোমার …
মায়া অন্দরমহলে ঢোকার আগে কতো কিছু দেখে নিতে হয়। নদী পাড়ের মানুষ, অসহায় বেদেনীর মুখ, সাহেব বাড়ির গেট, নির্জনতা থেকে বাঁচবার জন্য যাত্রাদলের নায়িকার আঁচল ধরে কেঁদে ফেলা। অবসরে যাইনি …
[কবি ফেরদৌস নাহার যেন এক আজন্ম অভিযাত্রী। সব সময়ই তিনি থাকেন শারীরিক অথবা মানস ভ্রমণে। তার প্রতিটি কবিতাও যেন এক একটি ভ্রমণের উপাখ্যান। তিনি অবলীলায় বলেন, “সুউচ্চো পাহাড় হইতে আরও …
নিরালম্ব পাঁশুটে ধোঁয়ার ভেতর যে কষ্টগুলো তা থেকে অনায়াসে একটা মাদকসুখ অনুভূত হতে পারে এই যে দু-আঙুলের ফাঁকে জ্বলা সিগারেট তার সঙ্গে পুড়তে পুড়তে যা কিছু বায়ুভূত আলগোছে তুলে নিচ্ছে …
দেহযোগ যদি হৃদয় দিয়ে আকাশ অধিগ্রহণ করো। অপরিবর্তিত থাকে প্রেমের জলবায়ু। অতিবর্ষণ, বজ্র এবং অনাবৃষ্টির না থাকে ভয়, প্রতিরোধেঃ রিপ্রোডাক্টিভ ক্ষরা। জন্ম গ্রহণ করেছ তাই, জন্ম দিতে এতোটা উদগ্রীব হয়েছ, …
পটে আছে ঘাস জেনগল্প হৈতে প্রবাহিত… পটিয়া জেলার কথা কহিতেছিলাম। # কী কৈরা কোন কুমার, কোন পটে পটিয়া গিয়া অনন্তর, একটি অনড় জায়গার নাম বদলাইয়া দিয়াছিল জোরেসোরে তথায়, পটিয়া নামকরণের …
ভেসে যাক তোমার দেয়া বইগুলো আর হয়নি পড়া নিরিবিলি বন হাতের তালুতে, আর আমাদের মুখের উপর শিরার মতো চারণভূমির কণা গ্রীষ্মের এই পৃথিবীতে কই আসে রাত তুমি ঝরালে শতাব্দীর সব …
পাথরের জবান দরোজার গ্রন্থি খুলে একদিন সাঁই সাঁই বাতাস ঢুকে পড়বে আর পাথরের জবান খুলে যাবে স্যাঁত স্যেঁতে কথার ভেতর থেকে উড়ে আসবে কবুতর আঙুল দিগন্তের বুক চিরে দিলে আকাশে …
চাঁদ ডুবে গেলে আমাদের একটা ছায়াঘর ছিল- খুব রোদ্দুরের দিনে চুপচাপ পাতাঝরার শব্দ শোনার জন্য তখন আবছা-ম্লান নীহারকণার মতো স্বপ্নেরা উড়ে উড়ে যেতো চারপাশে। আমি রাতকে বলেছি আরও কিছুটা সময় …